উইংস অব ফায়ার
বইবাজার মূল্য : ৳ ১৬০ (২০% ছাড়ে)
মুদ্রিত মূল্য : ৳ ২০০
প্রকাশনী : অন্যধারা
This book is Out of Stock
যদি কিছু অনুপ্রেরণা মূল্যক বই এর নাম জানতে চাওয়া হয় তাহলে আমি "উইংস অব ফায়ার " এর নাম আগে রাখতে চাবো। বই টি সবার পড়া উচিৎ।অনেকেই আত্মবিশ্বাসের অভাবে জীবনে কিছু করতে পারে না,তাদের জন্য এই বইটি হবে প্রেরণার। পিছিয়ে পরা মানুষদের জন্য সামনে জাওয়ার সাহস হবে এই বইট।
প্রকাশক : ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশনার বছর : 1999 মিডিয়া টাইপ : প্রিন্ট (পেপারব্যাক) মূল্য : ইংরেজী ভার্সন - প্রায় ৭০০ টাকা বাংলা ভার্সন - প্রায় ১৫০ টাকা পৃষ্ঠা : 180 (পেপারব্যাক সংস্করণ) ISBN : 81-7371-146-1 (পেপারব্যাক উইংস অফ ফায়ার এ পি জে আব্দুল কালামের একটি আত্মজীবনী (1999), তিনি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি। কালাম তার প্রাথমিক জীবনে প্রচেষ্টা, কষ্ট, দৃঢ়তা ইত্যাদির পর অবশেষে তাকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা, পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনা করতে পরিচালিত করেছিল। কালাম শুরু করেন ইন্ডিয়ান এমআইটি (চেন্নাই) থেকে । হিন্দুস্তান এ্যারোনটিক্স লিমিটেডের এয়ারস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতকোত্তর পর এবং হভারক্রাফট প্রোটোটাইপ নির্মাণের জন্য নিযুক্ত হন। পরে তিনি এইরোতে স্থানান্তরিত হন এবং বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন এবং প্রথম স্পেস লঞ্চ-ওয়াইন প্রোগ্রামের অগ্রগতি করেন। ১৯৯০ এবং ২০০০ সাল এর প্রথম দিকে কালাম ভারতীয় পারমানবিক অস্ত্র কর্মসূচির নেতৃত্বের জন্য ডিআরডিওতে চলে যান , বিশেষ করে হুমকি বুদ্ধ ও একটি আইসিবিএম অগ্নি (ক্ষেপণাস্ত্র) অপারেশনে চরমপন্থী অস্ত্রোপচারের উন্নতিতে বিশেষ সাফল্যের সাথে। মেঘমায় শিলং-এর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এ বক্তব্যকালে কালাম 27 জুলাই ২015 তারিখে মারা যান। তার জীবন এর এই সকল অভিজ্ঞতা তিনি এই বই এ তুলে ধরেছেন উইংস অব ফায়ার বইটি ভারত উপমহাদেশের অন্যতম রকেট বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালাম স্যার এর আত্নজীবনি। মাদ্রাসের মুসলিম পরিবারের ছেলে কালাম এর জীবনটা এই বইয়ে বর্ণিত হয়েছে। খুব ছোট থেকে বেড়ে ওঠা সহ সব! আবদুল কালাম স্যার এর জীবনে তার মেন্টররা খুব বড় প্রভাব রেখেছেন। তিনি বইয়ের প্রতি পাতায় পাতায় তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পড়াশোনার জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসার ইতিহাসটাও খুব সুন্দর করেই বলেছেন! এই বইয়ে আমি মূল যে বিষয়টা শিক্ষতে পারলাম তা হল " Never give up " আবদুল কালাম স্যার ভারতের সব বড় বড় প্রজেক্টের সাথে যুক্ত ছিলেন। অনেক ক্ষেপানাস্ত্র তার দায়িত্বের মধ্য দিয়ে উৎক্ষেপিত হয়েছে।
বইয়ের নাম: উইংস অব ফায়ার লেখক : এ পি জে আবদুল কালাম , অরুণ তিওয়ারি কভার আর্টিস্ট : দ্যা উইক বিষয় : প্রযুক্তি স্বনির্ভরতায় ভারতের অঅগ্রগতির শুরুর ইতিহাস এবং আত্মজীবনী প্রকাশক : ইউনিভার্সিটি প্রেস বইবাজার মূল্য: ১৪০ টাকা ‘মিসাইল ম্যান’ খ্যাত ভারতের রাষ্ট্রপতি আবদুল কালাম আজাদের আত্মজীবনীমূলক বই হলো ‘উইংস অব ফায়ার।’ রামেশ্বরম থেকে বেড়ে ওঠা ভারতের এই মহান বিজ্ঞানীর জীবন শুরু হয়েছিল অস্বচ্ছল পরিবার থেকে। যেখানে তার গুরু ছিলেন ধর্মপ্রাণ মমতাময়ী মা ও স্বচ্ছ জ্ঞানসম্পন্ন পিতা। তিনি সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন জালালুদ্দিনের যিনি পরবর্তীতে তার দুলাভাই হন। ছোট থেকেই জীবনে বড় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আর বিশাল স্বপ্ন দেখার অভ্যাস ছিল ভারতের এই রাষ্ট্রপতির। ছাত্র হিসেবে অনেক বেশি উজ্জ্বল না হয়েও সুসংবদ্ধ চিন্তাধারা ও নেতৃত্বের গুণে তিনি স্থাপন করে গিয়েছেন এক জ্বলজ্বলে দৃষ্টান্ত। স্বাধীনতা পূর্ব সময় থেকেই যারা ভারতকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আত্মনির্ভরশীল হিসেবে দেখার স্বপ্ন দেখতেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন এই মহান ব্যক্তি। অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনিই সৃষ্টি করেছিলেন ভারতের প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের রাস্তা। দেশীয় মেধাদের কাজে লাগিয়ে ১৯৮০ সালে সংগঠিত শক্তির সুন্দর প্রয়োগের মাধ্যমে ভারতের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পরীক্ষা সফল ভাবে সম্পন্ন হয়। মানুষের জীবনের বিশেষ বিশেষ কাজ- যেগুলো মানুষকে বছরের পর বছর ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় বরণীয় করে রাখে, তার আড়ালে লুকিয়ে থাকে অনেক বছরের সীমা অতিক্রান্ত স্বপ্ন দেখা, অনেক রাত জাগা গল্প, অনেক ব্যর্থতার বেদনা আর কিছু শক্তিশালী উদ্যোগ। জীবনের অনেক সময় মনে হতে পারে হয়তো বা সকল আশার আলো, আধারে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সমস্ত অর্জন মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু যারা সত্যিকারেই কোন কিছু চেয়েছে- তারা সেইসব ধ্বংসস্তূপ থেকে খুঁজে নেয় সফলতার পরবর্তী সোপান। সফলতাকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে। আমার মতে সফলতা হলো পরিপূর্ণ আত্মতৃপ্তি। আবদুল কালাম ও তার সহকর্মীদের একাত্মবোধ এবং দেশ প্রেম তাদেরকে নিজ স্বপ্নের পূর্ণতা দেখিয়েছিল। ভারতের রকেট বিজ্ঞানে ভবিষ্যতের দ্বার বিশালভাবে উন্মুক্ত হয়েছিল। আবদুল কালামের জীবনের মধ্যে দিয়ে আমরা খুঁজে পাই একজন পুত্র, একজন ভাই, একজন বন্ধু, একজন ছাত্র, একজন কর্মী, একজন নেতা ও একজন দেশপ্রেমিকের আদর্শ। তার জীবন যে কারো কাছে হতে পারে অনুপ্রেরণার এক বিশাল সমুদ্র। ত্যাগ, ধৈর্য্য, বিশ্বাস ও সাহসের সমন্বয় যেকোনো অসাধ্যকে সাধন করতে পারে- যেকোনো স্বপ্নকে করতে পারে বাস্তব – আবদুল কালামের জীবনী আমাদের সেই শিক্ষাটাই দেয়। আবদুল কালামের এই বইটি একটি প্রেরণা। এই বইটি একজন পুত্রের, একজন ছাত্রের, একজন শিক্ষকের, একজন কর্মীর এবং একজন নেতার জীবনী। জীবনের যেকোন জায়গা থেকেই ঘুরে দাড়ানো সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে ঠিক কোন দিকে ঘুরে দাড়ালে জীবনটা আসলেই চমৎকার হয়ে যাবে। আবদুল কালাম রকেট বিজ্ঞানে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি রেখে যান নি কোন বংশধর। আর তাই এই মহান ত্যাগ ও অর্জনই তাকে দিয়েছে মিসাইল ম্যানের উপাধি – যা অসম্ভবরকম যথার্থ। রেটিং: ৯.৫/১০ #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯
এ পি আবদুল কালাম ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাহক। যার লেখা বক্তিতা মানুষকে এমন ভাবে আকৃষ্ট করে যা না দেখলে বা না শুনলে বুঝা যেত না। আমার দেখা অসাধারন একজন গুণি ব্যক্তি। তার এই মৃত্যুতে আমরা আরো একজন গুনি ব্যক্তিকে হারালাম বলে আমি বিশ্বাস করি। বইটি পড়ে আমার কাছে যে উক্তি গুলো ভালো লেগেছে তার কিছু প্রিয় উক্তি ● একজন খারাপ ছাত্র একজন দক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে যা শিখতে পারে তার চেয়ে একজন ভালো ছাত্র একজন খারাপ শিক্ষকের কাছ থেকে অনেক বেশী শিখতে পারে। আসেনা। ● বিজয়ী হওয়ার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে বিজয়ী হওয়ার দরকার নেই মনে করা। তুমি যখন স্বাভাবিক আর সন্দেহমুক্ত থাকবে, তখনই তুমি ভালো ফলাফল করতে পারবে।● প্রশংসা করতে হবে প্রকাশ্যে কিন্তু সমালোচনা ব্যক্তিগতভাবে।