ওয়েদার মেকার (হার্ডকভার)
ওয়েদার মেকার ।।। বিজ্ঞানী প্রফেসর টাবুল আবিষ্কার করে ফেলেন এমন একটা যন্ত্র যা আবহাওয়াকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। মরুভূমিতে তুষারপাত ঘটাতে পারে, খরতাপিত এলাকায় বৃষ্টি ঝরিয়ে দিতে পারে। উদ্ভাবক প্রফেসর টাবুল যন্ত্রটার নাম দেন ওয়েদার মেকার'। যন্ত্রটা নিয়ে প্রফেসর টাবুল আমেরিকার এক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে যান। সঙ্গে আছেন তার বয়স্ক পড়শি অসীমবাবু আর অসীমবাবুর কুকুর। অসীমবাবু এক মজার মানুষ। কথায় কথায় দম ফাটিয়ে হাসাতে পারেন। আমেরিকায় পৌঁছানোর পরেই ঘটতে থাকে শ্বাসরুদ্ধকর সব ঘটনা। চুরি হয়ে যায় ওয়েদার মেকার'। কে চুরি করলো যন্ত্রটা? খুঁজে পাওয়া যাবে কি সেই অমূল্য যন্ত্রটা বিদেশ-বিভুইয়ে? সায়েন্স ফিকশন আর গোয়েন্দা কাহিনীর অপূর্ব মিশেল। সায়েন্স ফিকশন আর গোয়েন্দা কাহিনীর অপূর্ব মিশেল। একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করে পাঠক উঠতে পারবেন না এটি ভাল একটি বই। যেটি পরে অনেক ভালো লাগবে।
পিনাকী ভট্টাচার্যের নতুন বই, একটু অন্য মেজাজের, নামটাও কৌতূহলোদ্দীপক - 'ওয়েদার মেকার'। বই প্রকাশের খবরটা দেখা মাত্র অনলাইনে প্রি-অর্ডার করে ফেললাম। দাম রাখা হয়েছে ১৭৫৳। অর্ডারের দশ দিনের মাথায় আজ বইটা হাতে পেলাম। চমৎকার প্রচ্ছদ। ভেতরের পৃষ্ঠার মান, বাধাই খুবই উন্নত। দেরী না করে পড়া শুরু করলাম। প্রচ্ছদের ছবিটি দেখে যেন ফেলুদা আর জটায়ুকে মনে পড়ছিল। পড়েতে গিয়েও সেই ছায়াই পেলাম। যেহেতু সত্যজিত রায়ের আবেশ মনে গাথাই ছিল, পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই যেন তুলনাটাও মনের মধ্যে এসেই গেল। বইয়ের মাঝে মাঝে পৃষ্ঠা জুড়ে ছবি যেন আরো বেশী করে সেই স্বাদের ক্ষুধা তৈরী করিয়ে দিল। গল্পের প্লট ভাল, শেষ পরিণতিটাও ভাল। শেষ পর্যন্ত কি হবে কি হবে সাসপেন্সটা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন লেখক। আসীম বাবুর নির্লিপ্ত রসবোধ হালকা হাসিয়েছে। তবে আগেই বলেছি, মনে মনে রায় সাহেবের স্ট্যান্ডার্ড আশা করে পড়া শুরু করে ফেলেছিলাম। সেক্ষেত্রে কিছুটা হতাশ হতে হয়েছে স্থান কাল পাত্রের বর্ণনার স্বল্পতায়। বইয়ের পরিসরেও অতৃপ্তি রয়ে গেল। কিছুটা নিজের কিশোর বয়সে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।