'ভূতের নাম টিটং টং', নিতান্তই একটি শিশুতোষ গল্পের বই ভেবেই পান্ডুলিপিটি পড়তে শুরু করেছিলাম। যদিও গতবছর লেখকের আরো একটি শিশুতোষ বই পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। তবুও এমন ভাবনা মাথায় আসতেই পারে, 'একই ভূত প্রেতের নামে একজন লেখক নতুন আর কী দিতে পারে!' তবে পড়া শেষে সত্যিই আমি চমকিত।
বিভিন্ন আকারের মোট নয়টি গল্প দিয়ে বইটি সাজানো হয়েছে। প্রতিটি গল্পের নামে বাচ্চাভোলানো রূপকথার পরশ থাকলেও গল্পগুলির বিষয়বস্তু মোটেও রূপকথা নয়। তবে কী? এই কী এর জবাব জানতেই বইটি পড়তে হবে।
'ভূতের নাম টিটং টং' এমন একটি বই, যা নতুন পড়তে শেখা একজন শিশু বা কিশোরের পড়তে ভালো তো লাগবেই, মা বাবাও শিশুর গল্প শোনানোর আবদার রাখতে হিমশিম খেতে গিয়ে দিব্যি বইটি থেকে একটি করে গল্প পড়ে শোনাতে পারবেন।
লেখকের সার্থকতা এখানেই যে, বইটি পুরোপুরি শিশুকিশোরদের আনন্দদায়ক উপযোগী করে লেখা, আবার শিশুদের যুক্তিযুক্ত চিন্তাশীলতা বৃদ্ধিতেও বইটি ভূমিকা রাখবে। গল্পগুলির বিষয়বস্তু না হয় এর অপার কৌতুহলী পাঠকদের আবিষ্কারের জন্যই রাখা হোক। অভিভাবকরা বইটি শিশু কিশোর সন্তানের জন্য সংগ্রহে রাখতে পারেন।
- ফৌজিয়া খান তামান্না।