ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ নয়নের মা মারা গেছেন । তার বাবা আরেকটা বিয়ে করেছেন। মা মরার পর তার জীবনে অন্ধকার নেমে । কাছের মানুষগুলো হয়ে যায় অনেক দূরের মানুষ। তার অনেক দুঃখ । অ-নে-ক কষ্ট।
একটা ভূত আছে। মানুষকে ভয় দেখানোই তার কাজ। সে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভীষণ আরাম পায়। নয়নকে ভয় দেখাতে এসে তার দুঃখ কষ্টের কথা জানতে পারে। তার খুব কষ্ট হয়। নয়নের দুঃখ দূর করার জন্য তার বন্ধু হয়ে যায়।
একটা শয়তান আছে । সে নয়নের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের ধরনটা এরকম , কখনও এক বেলা দিতে দেয় না। কখনও সুই দিয়ে কান ফুটো করে দেয়। কখনও মোটা বেত দিয়ে মারে। শয়তানটা নানান রকম ফন্দি বের করে নয়নের নয়নের ক্ষতি করতে চায়। তাকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চায়। ভূতটা নয়নের কোনো ক্ষতি করতে দেয় না। সব বিপদ হতে উদ্ধার করে। প্রতিদিন ঘটে অনেক ভয়ংকর ঘটনা। ক্ষণে ক্ষণে তৈরি হয় হরেক রকম মজার কাহিনী। ভূত আর শয়তানের যুদ্ধ বাঁধে। ভূতের অনেক ক্ষমতা। শয়তানের অনেক কুটিল বুদ্ধি। কার জয় হবে? ভূত জয় না পেলে নয়নের জীবনে দুঃখ কষ্ট দূর হবে না। ভয়ানক অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হবে প্রতিদিন। ভূত আর নয়ন আছে মহা টেনশনে...
পরিতোষ বাড়ৈ
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। নেশা লেখা। ছােটবেলা থেকেই সাহিত্যের দিকে ঝুঁকে পড়েন। মানুষকে নির্মল আনন্দ দেয়াই লেখার উদ্দেশ্য। সমাজ সংস্কার, লেখার অঙ্গীকার, আলােকিত সমাজ, লেখার স্বপ্ন সাহিত্যের প্রায় সকল শাখাতেই তার বিচরণ । নিরন্তর লিখে চলছেন গান, কবিতা, নাটক। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন অনেক পুরস্কার । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সাহিত্য পুরস্কার, মাদারীপুর; নজরুল সাহিত্য সম্মাননা, ঢাকা; মরমী কণ্ঠশিল্পী আব্দুল আলীম স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ লােকগীতি শিল্পীগােষ্ঠি, ঢাকা; মানবাধিকার সম্মাননা পদক, ঢাকা; নির্ভিক সংবাদ স্বর্নপদক, ঢাকা ।