ছোটমামার সাথে পাহাড় দেখতে এসেছে চয়ন। কিন্তু নিবিড় সবুজে ঢাকা পাহাড়চূড়ার বদলে সে দেখলো ভয়ঙ্কর পাশুটে এক মুখচ্ছবি। ঠিক যেন ঘাড় মটকে রাখা মড়ার শরীর। নিস্তব্ধ চারদিক, গাঢ় অন্ধকার! আর সেই অশরীরী নর্তকীর নূপুরের ঝংকার! আতঙ্কে মৃগী রোগীর মতো থর থর করে কাঁপছে চয়ন। আঃ ধপাস! সেও শুনেছে সেই হাড় কাঁপানো অদ্ভুতুড়ে কন্ঠ। বড্ড শীতল আর সম্মোহক প্রেতাত্মার কণ্ঠস্বর। রানীমার অতৃপ্ত আত্মা মধ্যরাতে আসমান থেকে নেমে এসেছে নীলমণির খোঁজে। বীভৎস সেই দৃশ্য দেখে তাড়া খাওয়া মোষের মতো হাঁপাচ্ছে আবির। প্রেতাত্মা মিলিয়ে যাবার পরপরই নাকে এল বিটকেল ঝাঁঝালো গন্ধ। যেন জ্যান্ত মানুষ পুড়ছে কোথাও!
অরুণ কুমার বিশ্বাস
অরুণ কুমার বিশ্বাসের জন্ম ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ গােপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় জহরের কান্দি গ্রামে। এসএসসি ইস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন হাই স্কুল, ১৯৯৩। এইচ,এস,সি নটরডেম কলেজ, ঢাকা, ১৯৯৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ এম এ, ২০০১। মেধার স্বীকৃতি হিসেবে নটরডেম কলেজ থেকে পেয়েছেন অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স। শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার এই লেখক সম্প্রতি ইংল্যান্ডের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লন্ডন মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিউম্যান রিসাের্স ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স ডিগ্রী (পাস উইদ মেরিট) অর্জন করেন। ব্র্যান্ড একুইটি মডিউলে পান ডিসটিশন নম্বর। কলেজে পড়ার সময় থেকে নিয়মিত লিখছেন। ছড়া, কবিতা, ছােটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, গােয়েন্দা কাহিনী । উল্লেখ্য, কিশাের উপন্যাসে তিনি বিশেষ স্বচ্ছন্দ। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশ বলতে গেলে পাড় পাঠক তিনি। বিশ্বসাহিত্যের সকল ভাষা ও শাখায় বিচরণ করে অমিত আনন্দ পান। গর্সিয়া মার্কেজ থেকে দস্তয়েভস্কি, এরিস্টটল থেকে স্টিফেন হকিংস, তদুপরি বাংলা সাহিত্যের অফুরান রসভাণ্ডার তাকে সারাক্ষণ আবিষ্ট করে রাখে। তিনি লিখতে ভালবাসেন, তবে পাঠের আনন্দ অবিমিশ্র, অসীম।ভ্রমণ তার প্রিয় শখ, খানিকটা নেশার মতাে। নতুন দেশ, নতুন মানুষ তার গবেষণার বিষয়। ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, ওয়েলস, দুবাই ও সাউথ আফ্রিকা। জীবনটাকে স্রেফ সরাইখানা মেনে কোথাও শেকড় গেড়ে থিতু হবার বাসনা নেই একদম । এমনি করে যায় যদি দিন যাক না!