এক মুখহীন অবয়বমাত্র জনতাপিণ্ডের সঙ্গে পথ হাঁটছে এই সংকলনের গল্পগুলি। তাদের সঙ্গে বটতলার সালিশী সভায় বসে পড়ছে, কখনও বাসরাস্তার ধারে আচমকা গজিয়ে ওঠা চায়ের দোকানে লুঙ্গি গুটিয়ে বসে মিঠুনের ‘সিনামা’ দেখছে, দেখছে মানুষকে ঘিরে ধরে পিটিয়ে মারতে মানুষের সে কী উল্লাস, দেখছে মানুষ নিজের দুঃখ-কষ্টে বুক আউলে কাঁদতেও অন্য মানুষের ভরসায় বসে আছে, আবার সেই মানুষই মরতে মরতেও ভুল স্বধর্ম আঁকড়ে চেতনার ওপারে যেতে চাইছে। এসবের ধার ঘেঁষেই আলতো উঁকি মেরে মেরে যেতে চেয়েছেন লেখক। পকেটে হাতটা ভরে, আলগোছে পা ফেলে ফেলে। এদেরই কারোর পাশে বসে একটা বিড়ি, একটু আগুন এগিয়ে দিতে চেয়েছেন। এভাবেই একটা-আধটা গল্প। এভাবেই ভিড়ের ভেতর একজন আধজন মানুষের বুদবুদ, কথা।
এহসান চৌধুরী
কথা সাহিত্যিক এহসান চৌধুরী। ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ ইং সালে যশােরে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাগত যােগ্যতা, এম.এ.।
বিচিত্র অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ জীবন। প্রথম জীবনে প্রাইভেট টিউটর, করণিক, টেলিফোন অপারেটর ও ওয়্যারলেস অপারেটর। মাঝে বিভিন্ন ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ, কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ, সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা, বিজ্ঞাপনী সংস্থার মিডিয়া ম্যানেজার, বেতার ও টিভির নাট্যকার, বাণিজ্যিক স্ক্রীপ্ট লেখক। সবশেষে বাংলা একাডেমীর উপ-পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ।
ষাটের দশক থেকে লেখালেখি শুরু। দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতায়, মাসিক পত্র-পত্রিকায় শতাধিক গল্পের প্রকাশ। এ পর্যন্ত ৪টি উপন্যাস, ৪টি গল্পগ্রন্থ, ৩টি মঞ্চ। নাটক, ৩টি রম্য-গল্পগ্রন্থ, ৩৭টি শিশুকিশাের গ্রন্থ প্রকাশিত।
১. শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে চাদের হাট’ পদকপ্রাপ্ত।
২. গবেষণাকর্মের জন্য কে, সি, কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।