ভূত শব্দের আরেক অর্থ অতীতও। ভূতের মতই ইতিহাস আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে, তাকে দেখা যায় না, কিন্তু খাঁচার পাখি ভূত শিয়রে বসিয়ে ছোলা খায় নামতা পড়ে, চারঅক্ষরে গালি দেয়। আবার বিশেষ বিশেষ তন্ত্রে সিদ্ধ হলে ভূত নাচিয়ে দেওয়া যায় শ্রেণিশত্রুর ভিটেয়। সারা ইউরোপ তখন ভূত দেখতে শুরু করে! এই আখ্যানে সুদূর মেদিনীপুর থেকে ভূতের চারা এনে কলকাতার পাশে, হাওড়ার ডুমুরজলায় বপন করা হবে। ইউরোপ আমেরিকার বাজারে কিম্বা বাংলারই প্রান্তিক জেলার হাটে ভূতের দাম আছে। কিন্তু কে না জানে হাওড়ার নার্সারির মাল কলকাতাতেই বিকোতে হবে, আবার হাওড়ার অতীত জুড়ে থাকে প্রত্যন্ততর জেলার মাঠ থেকে আহৃত শস্যের চালানের সঙ্গেই। তো আধা-কেরানিয়াল, আধা আলোকপ্রাপ্ত কলকাতার বাজারে কি সেই ভূতের দাম উঠবে আদৌ? কলকাতার বাজারে বিজ্ঞাপন দিতে গিয়ে লেখক দেখা পান কে সি পালের, যিনি গাছের মগডালে উঠে ল্যাম্পপোস্টের সানুদেশে লিখে যাচ্ছেন- সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে।