রায়হান-বর্ষা, ঐশি-রাতুলের যুগল প্রেম কাহিনি নিয়ে গড়ে ওঠা পুরোদস্তুর রোমান্টিক উপন্যাস- ভর দুপুরের জোছনা। বইটিতে একই সময়ে প্রবাহমান দু’টি প্রেমের গল্প সমান্তরাল ভাবে বলা হয়েছে। গল্প দুটি আলাদা হলেও বিচ্ছিন্ন নয়। বরং একটি ঘটনার শেষ পরিণতি অনেকাংশেই অন্যটির উপর নির্ভরশীল ছিলো। এক্ষেত্রে গল্পের ইতি টানার ব্যাপারে লেখক বরাবরের মতোই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। দুই জগতের অনুভূতিকে এক সুঁতোয় গেঁথে নিয়েছেন তিনি।সাধারণত ভর দুপুরে আকাশ বেয়ে নেমে আসে তীব্র রোদ। পক্ষান্তরে স্নিগ্ধ জোছনার দেখা মিলে রাতের বেলা। তাহলে উপন্যাসের নাম- ভর দুপুরের জোছনা কেন? প্রশ্নের উত্তর মিলবে উপন্যাসের শেষ অধ্যায়ে। এখানে লেখক মানব জীবনের দুঃখ, কষ্টকে মধ্য দুপুরের রোদেরসাথে তুলনা করেছেন। অন্যদিকে জোছনাকে ধরে নিয়েছেন শান্তির প্রতিক হিসেবে। কারও জীবনে যদি অপ্রত্যাশিত ভাবে তীব্র কষ্টের মাঝেও হঠাৎ কোনো সুখবর চলে আসে সেটাকেই রুপক অর্থে ভর দুপুরের জোছনা বলা হয়েছে। প্রকাশিত হওয়ার অনেক আগে থেকেই বইটি পাঠকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো।