তরুণ লেখক আব্দুল গাফফার রনি । বয়সে তরুণ হলেও তাঁর কলমের ধার কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠিত লেখকেও তাক লাগিয়ে দিতে পারে। জামিল সিরিজের আলোচ্য বইটিই তার প্রমাণ। সায়েন্স ফিকশন কাহিনিগুলো সাধারণত তথ্য ও তত্ত্বের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু রণির এই কাহিনিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গল্পরসকে ধরে রাখতে পেরেছে। এখানে বইটি থেকে সামান্য অংশ তুলে দিচ্ছি :(ড. জামিলের বর্ণনায়) কাজ রেখে বাথরুমে গিয়ে হাত ধুয়ে এসে দেখি, একটা রেজিস্ট্রি খাম নিয়ে পিয়োন বসে আছে। তার হাত থেকে খামটা নিলাম। খুলে দেখি বন্ধু আফজালের চিঠি। চিঠিতে যা লেখা তা মোটামুটি এরকম হঠাৎ করেই সুন্দরবনে এক বড় ধরনের উল্কাপাত ঘটেছে। উল্কার গন্ধ পেয়ে এরই মধ্যে এখানে এসে হাজির হয়েছে দুইসাদা চামড়ার সাহেব আর এক ইণ্ডিয়ান সর্দারজি। এখানে কী খুঁজছে সে ব্যাপারে মুখ খুলছে না। দিন পাঁচেক আগে কালিন্দি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে একটা লোহার রড কুড়িয়ে পেয়েছি। রডটা মোচড়াতেই খুলে দুভাগ হয়ে গেল। ভেতর থেকে বেরিয়ে এল একগাদা কাগজ। শুধুমাত্র দুটো ছবি ছাড়া ওই কাগজগুলোর একবিন্দু লেখাও বুঝতে পারলাম না। মনের ভেতর খচখচ করছেভ মনে হচ্ছে এই পাণ্ডুলিপির দুর্বেধ্য লেখায় বড় কোনও রস্য লুকিয়ে আছে। হয়তো সুন্দরবনে উল্কাপাত ও তিন বিদেশির আগমনের কারণ। আমার বিশ্বাস তুই-ই পারবি এই পাণ্ডুলিপির পাঠোদ্ধার করতে...কাহিনির শুরু এভাবেই। লেখক ধীরে ধীরে আপনাকে এমন সব ঘটনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন যা কেবল রোমহর্ষকই নয়, বরং বলা যায় ওগুলো রহস্য-রোমাঞ্চের মিশেলে এক গোলকধাঁধা। বইটি একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না। যথাযথ প্রচারে বইটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। লেখকের কাছ থেকে এ ধরনের আরও কাহিনি আশা করছি।