ফ্ল্যাপে লিখা কথা চৈতন্যের আলোড়ন কিংবা ক্রিয়েটিভ ভিশান যা-ই বলি না কেন তা অত্যন্ত রক্তহাড়ময় অভিজ্ঞতা, যা নানাভাবে আজকের মানুষকে উসকে দেয়। তাই শুধু একটি সরল কাহিনিভাষ্য এ সময়ের গল্পে ধারণ কতটুকু ন্যায্য। আর সম্ভবত সে জন্যই শেখ লুৎফরের এই গ্রন্থের গল্পগুলোর বিষয়ই ভাষা, আঙ্গিক এবং গন্তব্য নির্ণয়ে তাকে সাহস জুগিয়েছে। ‘তলানি’ গল্পের রহিমা কিংবা ‘নিশি’ গল্পের ‘নিশি’ জীবনের অধরার সন্ধানে ছুটতে ছুটতে এক সময় স্তম্ভিত হয়ে দেখে গরলের পেয়ালাটা উপচে উঠেছে-ডুবে যাওয়া ছাড়া আর কোনো গন্তব্য নেই। লেক ‘বাপ’ গল্পের হেকমন আলী মুন্সি, ‘যাতায়াত’ গল্পের পালকিবাহক গঙ্গরাম, ‘ভাতবউ’ গল্পের জয়নাব কিংবা ‘লাশ’ গল্পের চানু এসব ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়কে ধরতে চেয়েছেন। কখনো জীবনের সর্বব্যাপী চাওয়াকে মুছে দেয় জটিল সময়, কখনো বৈরী প্রকৃতি তছনছ করে যায় নিম্নবিত্তের নড়বড়ে সংসার। আবার কখনো রাজনৈতিক পেশীশক্তি পিচাশের মতো মানুষকেও হার মানায়। বাস্তব পটভূমির সারটুকু অটুট রেখে দহাতী মানুষের ভাগ্য আর বাসনার রক্তাক্ত লিপিচিত্রই ভাতবউ।
শেখ লুৎফর জন্ম ১৯৬৬ সালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও। পেমায় শিক্ষক শেখ লুৎফরের বর্তমান নিবাস সুনামগঞ্জ জেলায়। তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘উল্টারথে’ এবং উপন্যাস ‘আত্নজীবনের দিবারাত্রি’