"ভাড়াবউ" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা:
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আপনারা যারা রহস্য উপন্যাস পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য সুখবর! ২০২০ সালের একুশে বইমেলায় অবসর প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশ হতে যাচ্ছে মহি মুহাম্মদের ‘ভাড়াবউ’ বইটি।
স্বপন বিয়ে করতে চায় না। বুদ্ধির পর থেকেই মায়ের কষ্ট দেখে আসছে। বউ এনে মায়ের কষ্ট দ্বিগুণ করার ইচ্ছে নেই। মা একা একা গ্রামে থাকেন। কিছুতেই শহরে আসবেন না। হঠাৎ একদিন খবর এলো মায়ের অবস্থা খারাপ। বাথরুমে পড়ে গিয়ে মা আঘাত পেয়েছেন। মাথায় ক্ষত হয়েছে। স্বপন ভাবল, মা বুঝি আর ফিরে আসবেন না। এদিকে সহকর্মী অবন্তী খুন হওয়াতে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে গেল। সন্দেহের তালিকায় তার নামটাও রয়েছে। কারণ খুন হওয়ার রাতে স্বপন ছিল অবন্তীর সঙ্গে! এদিকে মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য তার একটা বউয়ের প্রয়োজন। আফসোস নিয়ে মা মরে যাবে এ কথা সে ভাবতেই পারে না! ফেসবুকের সাহায্য নিয়ে পেয়ে গেল ভাড়াবউ। অবন্তী-হত্যা নিয়ে জলঘোলা করছে আরেক সহকর্মী জফির হাসান। খুনের দায়ে ফেঁসে যাবে কি স্বপন? আর অন্যদিকে রহস্যময়ী ভাড়াবউটি আসলে কে? ভাড়াবউ আর স্বপনকে ঘিরে এক জটিল রহস্য তৈরি হলো। তারপর?
মহি মুহাম্মদ
মহি মুহাম্মদ ফটিকছড়ির আছিয়া চা-বাগানে ১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। চা-বাগানের আলাে-বাতাসেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। তরুণবেলা থেকেই লেখালেখি। সমাজের প্রান্তজনরা তার গল্পের চরিত্র। তার গল্পগ্রন্থ অহল্যাকথা, সুচেতনা ও হরিশ্চন্দ্রলাইন ও কয়েকজন শেফালির গল্প। তিনি উপন্যাসও লিখেছেন—আড়াইপাতা, চা-বাগান শ্রমিকদের জীবন নিয়ে। ঘাম-কাম, ক্রোধ-উদারতা, প্রতিশােধ-প্রতিরােধ নিয়ে চাশ্রমিকের জীবনচিত্র আঁকার চেষ্টা আড়াই পাতায়।
ময়নাদ্বীপ, পদ্মানদীর মাঝির অনুসরণ নয়, যদিও পদ্মানদীর মাঝির প্রায় সকল চরিত্র ময়নাদ্বীপে উপস্থিত। ময়নাদ্বীপ পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মেনকায় আছে অসহায় এক নারীর জীবনের করুণকাহিনি। ঘাইহরিণীতে ঘুণেধরা সমাজব্যবস্থার নতুন এক দিগন্ত আবিষ্কারের চেষ্টা। পাশ্চাত্য হাওয়ায় বদলে যাচ্ছে চিরচেনা সমাজ। এ উপন্যাসে সেই সমাজকে তিনি নতুনভাবে আঁকতে চেয়েছেন।
কফিনের উইলি (২০১৮) কফিনের আত্মার সঙ্গে এক পিতার অসম যুদ্ধের কাহিনি।