ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কবিতার সঙ্গে শুচি সৈয়দের গাঁটছাড়া দীর্ঘদিনের। এর প্রবহমানতায় তিনি তাঁর নিজস্ব একটি কণ্ঠস্বর নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন একটি শিল্পিত আঙ্গিক। কাঠামোকেন্দ্রিক বিশ্লেষণে তাঁর কবিতার উৎকর্ষ ভাস্কর্যশিল্পের মহিমায় উজ্জ্বল। ফলে বহুরৈখিক অবস্থান থেকে পর্যবেক্ষণ এবং রস-আস্বাদনের সুযোগ রয়েছে তাঁর কবিতায়-যেখানে শিল্পিত ঐশর্যের সম্ভব। তাই সৃজনশীল চিন্তা এবং মননের ক্ষেত্রে শুচি সৈয়দ পাঠককে তাড়িত করতে সক্ষম হন সহজেই।
জীবনের সংঘাত বৈপরীত্য বঞ্চনা প্রতিবাদ পাওয়া না-পাওয়ার বেদনা কিংবা বিরান মাঠের মতো খাঁ-খাঁ হৃদয়ের আর্তি তাঁর কবিতায় বহুমাত্রিকতার ব্যঞ্জনা তৈরি করে যেখানে শিল্পিত রহস্যময়তা এবং আলোছায়ার লুকোচুরি পাঠক মনকে কৌতূহলী করে তোলে।
বাংলার নানা প্রান্তে নানা মানুষের হৃদয়ের মানচিত্রে রয়েছে নানা ভূগোলের লেখাজোখা ; সেই ভূগোলকে শুচি দেখেছেন কিংবা সেই মানচিত্রকে এঁকেছেন চারণকবির মতো। তৈরি করেছেন ভিন্ন এক কণ্ঠস্বর। ছন্দ গেঁথেছেন কুশলী সৃজনশীলতায়। এবং এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মানুষ-ভূপ্রকৃতির একটি সামগ্রিক ছবি এঁকেছেন তিনি পরম মমতায়। এখানেই কবি শুচি সৈয়দের কবিতার প্রাতিস্বিকতা।