ভাইরে/আপুরে!!!‌ (হার্ডকভার)

বুক রিভিউ নাম : ভাইরে আপুরে লেখক : শাব্বির আহসান (বই সম্পর্কে বাকি তথ্য রিভিউয়ের শেষে) এই বইটি মূলত লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস সমূহের সমষ্টি। লেখকের বিগত ২ বছরে "ভাইরে/আপুরে" বলে শুরু করা স্ট্যাটাসের সংকলন এই বই। বইটি কাদের জন্য : বাংলাদেশে হতাশায় নিমজ্জিত পোলাপান, স্কুল, কলেজ আর ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত একঝাঁক তরুণ, প্যারেন্টস সহ সকলের জন্য এই বই। এছাড়াও যাদের এই ধরনের মোটিভেশনাল বই পড়তে ভাল লাগে, তাদের জন্য এই বই পড়া অবশ্যক বলে আমার মনে হয়। কি আছে বইটিতে : বইটি মূলত লেখকের ৫০ বছরের জীবনের অসংখ্য অভিজ্ঞতার অংশবিশেষ। তাঁর জীবনের অসংখ্য অভিজ্ঞতা, সাফল্য আর ব্যর্থতার গল্পের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ভাল করার কৌশল বর্ণনা করেছে লেখক তার এই বইয়ে। এই বইয়ের সবচেয়ে যে দিকটি আমার ভাল লেগেছে তা হল লেখকের বলার ভাষা। লেখক খুব চমৎকারভাবে প্রচলিত বাংলা ব্যবহার করেছে। যার জন্য লেখাগুলো পড়তে কষ্ট হবে না। ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের মাধ্যমে লেখক এই বই পরিপূর্ণ করেছেন, যা সবার জন্য উপকারী। লেখকের অভিজ্ঞতার আলোকে এই বই লিখিত হয়েছে বলে, লেখক লিখেছেন তিনি তার জীবনে আবার ২০ বছর, ১৮ বছর ফিরে পাইলে কি করতেন। সেই সাথে ২০ বছর আর ১৮ বছর বয়সীদের দেখিয়ে দিয়েছেন, এই সময় তাদের কি করা উচিত। একইভাবে ২৫ বছরের আগে কি করা উচিত, কিভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন,কিভাবে বই পড়বেন, সব পরীক্ষার মূল রহস্য ইত্যাদিও লেখক বলেছেন তার এই বইয়ে। নতুন ভাষা শেখার টিপস, ইংরেজি ভাষা লেখা,বলা ও শেখার গুরুত্ব, কিভাবে শিখবেন তা লেখক বর্ণনা করেছেন। নেটওয়ার্কিং, CV আর ফেসবুক থেকে শেখার কৌশলও লেখক লেখেছেন তার এই বইয়ে। ১০০ দিনের প্ল্যানের সাথে সাথে আছে Pomodoro Technique এর মত বিষয়াদি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বইয়ে ডেমো রুটিনের সাথে সাথে ১০০ টি নন-ফিকশন বইয়ের লিস্ট দেওয়া আছে আর সাথে আছে সেই নন-ফিকশন বই ক্যামনে পড়বেন তার টেকনিক। এক কথায় একজন মানুষকে জীবনে সফল আর কর্মময় হতে যা যা লাগে, তার Practical উপায়সহ প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পাবেন আপনি এই বইয়ে। তাই, দেরি কেন? আজই পড়ে ফেলুন না শাব্বির আহসানের ২য় বই " ভাইরে,আপুরে!!!" এই বই থেকে আমার কিছু প্রিয় উক্তি : 1. Be the best, ever. 2. Don’t Joke with your future, else the whole world will joke with you. (আমাকে এইটা বেস্ট লাগছে।) 3. এখনকার সময়ে লজ্জা Loser-দের ভূষণ। 4. Just 30 minutes a day, a bold, brave, smart, awesome you. 5. Turn your addiction to a source of improvement, can you? 6. Life is awesome. Build, love and enjoy it. 7. ভালো ছাত্র, জিনিয়াস এইসব ভুংচুং মাত্র। BTW বইটি একবারে না পড়ে, অল্প অল্প করে প্রতিদিন পড়বেন আর সাথে পড়া বিষয়গুলোকে জীবনে ইফেক্টিভলি কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন। ধরণ : আত্ম-উন্নয়ন ও মেডিটেশন প্রকাশক : শব্দশৈলী ভাষা : বাংলা মূদ্রিত মূল্য : ২৭০ টাকা ১ম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আমাকে যদি বলা হয় যে তুমি পড়েছ এমন কিছু বইয়ের ভালো বইয়ের নাম বলো যেগুলো তোমাকে পরিবর্তন হতে সাহায্য করেছে তাহলে যে বই গুলো বলবো সেখানে এই বই সেই লিস্টে থাকবেই।এই বইটি এককথায় অসাধার। বই পড়লে আসলেই অনেক কিছু জানা যাবে।বইটি প্রথমে কিনতে চায় নাই।কারন লেখক কে আমি চিনি না।কোন দিন নামই শুনি নাই।এক বড়ো আপু বলেছিলেন যে এই বইটা কিনতে।কিনলে নাকি অনেক উপকৃত হবো।তার কথা শুনে কিনলাম।কিনে যখন পড়ে দেখলাম যে সে আসলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বই কিনতে বলেছেন।আমরা একসময় এসে বুঝতে পারি না যে কখন কি করা উচিত,কোন বয়সে কি কি করে ফেলা উচিত,কি কি স্কিল থাকতেই হবে ফলে দেখা যায় যে এর জন্য পরে অনেক চেষ্টা করেও সামনে আগানো যায় না।তাই লেখক ১৮ বছ, ২২বছ, ২৫বছর এর মধ্যে কি কি করে ফেলা উচিত তা আলাদা আলাদা ভাবে উল্লেখ করেছেন।কি কি স্কিল থাকা লাগবে তাও উল্লেখ করেছেন।আবার অনেক সময় আমরা নন ফিকশন বই পড়তে গেলে ভালো বই কোনগুলো তা বের করতে পারি না।তাই লেখক এই বইটিতে ১০০নন-ফিকশন বইএর নামও দিয়েছেন।যার ফলে কেউ বই পড়তে চাইলে সেখান থেকে খুব সহজেই তা ঠিক করতে পারবে।এইটা আমার নিজের অনেক সাহায্য করেছে।এটি সবারই অনেক কাজে দিবে।আমরা মুলত জীবনে যে সব সমস্যার সম্মুখীন হই তা নিয়েই এই বই। সে সব সমস্যা থেকে কিভাবে বের হবো তা নিয়েই লেখক এই বইটিতে কথা বলেছেন।যেমন আমরা মাঝেমধ্যে বলি যে মেধার দোষ,আমার দ্বারা হবে না।এসব নিয়ে লেখক যেসব কথা বলেছেন তা আসলেই অনেক ভালো লেগেছে।কারন এই ক্ষেত্রে সে তার নিজের জীবনের কথা বলেছেন সেখান থেকে সে এটার উত্তর দিয়েছে।এই বই পড়লে বুঝা যায় যে মেধাই সব কিছু না,আমরা আমাদের নিজেদের দোষে অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ি।Ms Excel কেন শিখতে হবে,ন্যাশনালে কি কি করলে ভালোকরা যাবে এরকম অনেক কিছু নিয়ে লেখক বলেছেন যা আসলেই কার্যকর।নিজের সময় অপচঅপচয়ই প্রধান সমস্যা তাও খুব ভালোমতো বুঝিয়ে দিয়েছেন লেখ। যারা জীবনের গাইড হিসেবে কোন বই চায় যেখানে অনেক কিছু বলা থাকবে যেমন কখন কি কি করা লাগবে কি কি স্কিল জানা লাগবে মোটিভেট ও করতে পারবে যখন সে হতাশ থাকবে, ইংরেজি কিভাবে শিখবে,অন্যদের থেকে কিভাবে আলাদা হবে তার জন্য এই বই। আমি গাইড হিসেবে এখন পর্যন্ত যতো বই পরেছি তার মধ্যে এই বইটি সব থেকে ভালো।এই বইটি পড়ে অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকা সম্ভব।বইটি মুলত লেখক তার ফেইসবুক থেকে নেয়া স্ট্যটাস।লেখক খুব সুন্দর করে প্রতেকটা বিষয় বুঝাতে পেরেছেন।বইটি আসলেই অনেক ভালো একটা।বইটি না পড়লে বুঝা যাবে না যে আসলেই বইটা কত ভালো।আমি নিজেও কিনার সময় বুঝতে পারি নাই বইটা এত ভালো।কিনার পরে যখন পড়ে দেখলাম তখন বুঝতে পেরেছি আসলেই অনেক ভালো।আমি এক বসাতেই পড়ে শেষ করে ফেলি।বইটি শেষ না করে উঠতেই পারিনাই।সবাইকে এই বইটি পড়তে বলবো।অনেক কিছু শিখতে পারবেন আমার বিশ্বাস #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_মার্চ_২০১৯

শাব্বির আহসান স্যারের লিখা অসাধারণ একটা বই।এই বইটি পড়লে বোঝা যায় জীবনে করার মত কত কিছুই না আছে। প্রথমে সবচেয়ে ভালো লেগেছে "ভবিষ্যত CV"। ১০বছর পরে আমি কোন জায়গায় থাকতে চাই তার একটি পরিকল্পনা। এরপর সেই CV অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করা। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়।তুমি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছ তারমানে এই নয় বিশ্ববিদ্যালয় সব দিয়ে দিবে কিংবা ন্যাশনালে পড় বলেই কিছু হবে না এমনটা নয়।ন্যাশনাল থেকেও অনেক কিছু করা যায় যা স্যার বইতে খুব সুন্দর ভাবে বলেছে। চাকরি পাবার ক্ষেত্রে CEO এর মত চিন্তা করা।আমি এই কোম্পানির CEO হলে কেমন মানুষ নিতাম, ইন্টারভিউতে কি কি প্রশ্ন করতাম, কি কি দেখতাম।Attitude, Education, Problem solving এইসব নিজে থেকে চিন্তা করে সেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করা। নতুন ভাষা শেখার ব্যাপারে স্যার বলেছেন, প্রত্যেক ভাষার structure মোটামুটি একই।প্রতিদিন আমরা সাধারণত ৫০০-৭০০টি শব্দই ব্যবহার করে থাকি,এই শব্দগুলো জেনে নিলেই আমাদের নতুন ভাষা শেখা হয়ে যাচ্ছে। তিনি তার বাস্তবিক জীবনের উদাহারন দিয়ে বলেন " অনেক বন্ধু ফ্রেঞ্চ কিংবা স্প্যানিশ ভাষা জানার জন্য UN-এ বিভিন্ন দেশে ১০/১২০০০ ডলারের চাকরি করছে। বইয়ে কোনো কাজের জন্য স্যার সময় ধরে প্লান ভাগ ভাগ করে দিয়েছে যে,প্রথমে ৩০দিন এই কাজ তারপর ৩০দিন এই কাজ করতে হবে। জ্যামকে কাজে লাগানোর বেশ কিছু উপায় স্যার বইতে বলে দিয়েছে যেমন : podcast, এটি মুলত audio file যা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চ্যানেলে আপলোড করা হয়,পুরনো বন্ধুকে ফোন দেওয়া, বই পড়া,vocabulary শেখা কিংবা প্লানিং করা। জ্যাম কিভাবে দূরে করা যায় এটা বড় বড় মানুষের চিন্তা করার কাজ আমরা চিন্তা করতে পারি জ্যামকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। এছাড়া ২০বছর বয়স হলে কি কি করতেন, ২৫এর আগে কি কি করা উচিত, কিংবা মা-বাবাদের কি কি করা উচিত সন্তানদের সাথে এই ধরনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমষ্টি মিলেই এই বইটি। আমার মতে,ছাত্র জীবনে একবার হলেও এই ভাইরে/আপুরে বইটি পড়া উচিত। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯

Simply an awesome motivational book to be read. Most recommended for young generation. Superb writing By shabbir vai.