উত্তরসূরি। আধুনিক শিক্ষিত যুবক আনাস উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। ‘নলেজ’ আর ‘স্কলার’ শব্দগুলো শোনামাত্র তার মানসপটে ভেসে ওঠে পাশ্চাত্য সভ্যতার জ্ঞানার্জনের ধারা। কেননা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে জ্ঞানী-গুণী বলতে সে শুধু পাশ্চাত্যের জ্ঞানীদের চিনেছে।
তাকে যদি বলা হয়, দশজন জ্ঞানী ব্যক্তির নাম লেখো। সে কখনো সেই তালিকায় ইমাম আবু হানিফা, ইমাম বুখারী, ইমাম গাজালী, ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে রাখবে না। কারণ, তাঁদের সাথে তার ‘পরিচয়’ নেই। এমন না যে, সে অজ্ঞেয়বাদী বা নাস্তিক। আনাস চরিত্রটি আমাদের আশেপাশের আট-দশজন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণের প্রতিনিধি।
উপন্যাসের সেই আনাস কোনো এক কারণে একে একে পরিচিত হতে থাকে মুসলিম সভ্যতার লিজেন্ডদের সাথে। এমন এক ইতিহাসের সাথে পরিচয় হয়, যে ইতিহাস এতদিন তার কাছে চেপে রাখা হয়েছিল। আনাস সেইসব ইতিহাস জেনে অবাক হতে থাকে। সে দেখে, নবীজি (সা.) যাদেরকে তাঁর ‘উত্তরসূরি’ বলেছেন, তারা সেই উত্তরসূরি হওয়াকে টেকেন ফর গ্রান্টেড হিশেবে নেননি। দিন-রাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন৷ অজস্র রাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন। রচনা করেছেন এমন এক ইতিহাস, যা কখনো ভোলার নয়।
চলুন, আনাসের হাত ধরে আমরাও সেই লিজেন্ডদের সাথে পরিচিত হই।