ভূমিকা ‘উত্তম পুরুষ’ পুস্তক আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে এবং আশা করি এ- কথা বলা অতিশয়োক্তি হবে না যে উপন্যাসটি পাঠক-পাঠিকা ও সমালোচকদের কাছে আশাতীত সমাদার লাভ করে।
‘উত্তম-পুরুষ’ এর প্রথম প্রকাশের সময় এখনকার যেসব পাঠক-পাঠিকা জন্মগ্রহণও করেন নি, বা করে থাকলেও যাঁদের বর্ণ-পরিচয়ও হয় নি, বা হয়ে থাকলেও যাঁদের গল্প-উপন্যাস ও কবিতা পাঠের বয়স হয় নি, তাঁদের অনেককেই কোনো কোনো উপলক্ষ্যে হঠাৎ এই প্রশ্ন করতে শুনিঃ ‘উত্তম পুরুষ’ সম্পর্কে এতো শুনেছি, কতো বইয়ের দোকানে খুঁজেছি, কিন্তু কোথঅও দেখি না কেন?
প্রশ্নটা তাঁরা করতেই পারেন। কারণ প্রথম মুদ্রণগুলো দ্রুত নিঃশেষিত হয়ে যাবার পর, প্রায় পনেরো বছর হতে চললো, উপন্যাসটি আর পুনর্মুদ্রিত হয় নি। আজকের পাঠক-পাঠিকাদের এই বিশেষ কৌতূহলের একটি কারণ বোধ করি এই যে উপন্যাসটি ১৯৬১ সালে ‘আদমজী পুরষ্কার’ ও লাভ করে। এই সুদীর্ঘকাল পর ‘মুক্তধারা’-র উদ্যোগে বইটি আবার আজকের পাঠক-পাঠিকাদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমিও আবার এই প্রথম দিনের আনন্দ লাভ করছি। একটি কথা বোধ হয় বলা দরকার।
ইংরেজিতে যাকে বলে পিরিয়ড-নভেল ‘উত্তম পুরুষ’ হচ্ছে তাই। একটি বিশেষ সময়কে এই উপন্যাসে ধরে রাখবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সময় স্থির হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না। তবু বইয়ের পাতায় থাকে।