শুক্রবার সন্ধ্যা। পাঞ্জাবি আর শাড়ি পরা মানুষদের আনাগোনা। ছয় তলা বিল্ডিংয়ের ডান পাশের মরিচবাতিগুলো জ্বলছে আর নিভছে। বাম পাশেরগুলো কন্টিনিউ জ্বলছে, একবারও নিভছে না। ছাদ থেকে সাউন্ডবক্সের শব্দ ভেসে আসছে। হিন্দি গানের ফাঁকে ফাঁকে বাংলা ফোক গানও বাজছে দুই একটা। গেট দিয়ে যারা ঢুকছে- বের হচ্ছে, সবার হাসি হাসি মুখ।
তিন বিল্ডিং পর একটা চায়ের দোকান। কম পাওয়ারের বাল্ব লাগানো। কেতলিতে লিকার গরম হচ্ছে। আর আমার সিগারেট থেকে ক্রমাগত ধোঁয়া বের হচ্ছে।
বিয়েবাড়ির দিকে তাকিয়ে সাত নম্বর সিগারেট প্রায় শেষ করে ফেলেছি। এতক্ষণ ধরে জমিয়ে রাখা অবাক দৃষ্টি আর কৌতুহল নিয়ে চায়ের দোকানদার সবুর জিজ্ঞাসা করলো, মামা কি কাউরে খুঁজতেছেন?
শেষ টান দিয়ে বাট ফেলে পাড়া দিয়ে নিভিয়ে বাড়িটার দিকে ধোঁয়া ভরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমি বললাম, না মামা। হারাইতেছি।