আইনকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। শাসন ঋতু পরিবর্তনের মতোই অপসৃয়মাণ। আইনের দর্পণে কাল এবং সমাজকে দেখা যায়। খ্যাতি-অখ্যাতির গৌরচন্দ্রিকায় শাসন হরফ হয়েই থাকে। কাল ও ঘটনাবলী ইতিহাসের নিয়ামক হলেও লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি রচনারীতিকে প্রভাবিত করে থাকে। বলতেই হবে, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ঐতিহাসিকদের সুদৃষ্টি লাভে খুব কমই সক্ষম হয়েছে। ‘উন্নত সমাজ কর্তৃক অনুন্নত সমাজকে পদানত করার’-একটি তত্ত্ব উপমহাদেশে ততদিন চালু ছিল, যতদিন পর্যন্ত সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কৃত হয়নি। সত্যি বলতে কি, আবিষ্কৃত সিন্ধু সভ্যতা নির্দেশ করে শিলার মতোই প্রাচীন বাংলাদেশের আইন আর শাসনের ইতিহাস। উপমহাদেশের আইন ও শাসনের ইতিহাস গ্রন্থটি প্রাচীনকাল থেকে সুলতানী আমল আইনের বিবর্তনের প্রধান প্রধান দিকের প্রতি আলোকপাতের প্রয়াস মাত্র। এই প্রয়াসের অভীষ্ট ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আইন ও শাসনের মূল্যায়ন। বর্তমান সংস্করণ আরও সমৃদ্ধ হওয়াতে পাঠকের কাছে পূর্বের চেয়ে বেশি মনোযোগ দাবি করে।
আবদুস সালাম মামুন
বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, জন্ম ১৯৫৭ সনের ২৫ শে জুন, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার বুলারতালুক গ্রামে, সৈয়দ বুলার পরিবারে। কৃতিত্বের সাথে এস. এস. সি ও এইচ, এস. সি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল. এল. বি (অনার্স) ও এল. এল. এম সম্পন্ন করেন। স্কুল ও কলেজ জীবনে তিনি গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের ছাত্র ছিলেন। ১৯৮২ সালে আইন পেশায় যোগ দিয়ে তিনি পর্যায়ক্রমে ডিফেন্স ও প্রসিকিউশনে সুনামের সাথে আইন পেশা পরিচালনা করেন। চট্টগ্রামের স্পেশাল পিপি, সুপ্রীম কোর্টের সহকারী এটর্নী জেনারেল ও পরবর্তীতে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে যশ ও খ্যাতির সাথে দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রামে তিনি চট্টগ্রাম আইন কলেজ অধ্যাপনা করেছেন। ব্যক্তি জীবনে বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জনক। হাজার বছরের বাংলা, বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ দিনগুলি তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ। ইতিহাস তাঁর সখ ও আনন্দের বিষয়। তিনি গবেষনা কর্মে নিয়োজিত আছেন। পাশাপাশি সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশাও পরিচালনা করেন।