ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে
বইঃ ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে। বইটার নাম শুনে অন্যরকম লাগলেও,মূলত বইটি নারীদের পর্দা বিষয়ক অনন্য এক চমৎকার বই।বইটিতে পর্দা সম্পর্কে কোরআন,হাদীসের রেফারেন্সসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।আশা করি বইটি পড়ে হাজারো মা,বোনরা উপকৃত হবেন।বইটি থেকে আমার ভালো লাগার অল্প একটু অংশ তুলে ধরলাম,,,,,, পর্দা নারীর লজ্জার ভূষণ।এটি নারীর লাজুকতা ও কোমলতায় পূর্ণতা আনে। চেয়ে দেখ আমাদের চারপাশের সব কিছুই পর্দাবৃত। সমীকরণের চাদরে ঢাকা ভূপৃষ্ঠের ঘূর্ণন।তাজা ফল-ফলাদিতে আছে বাকলের আবরণ।খাপের আচ্ছাদনে থাকে তরবারী।কলমের বডিতে ঢাকা থাকে কালি।অমূল্য চোখের সুরক্ষায় আছে পাপড়ির ছাউনি। নারী হলো সুবাসিত ফুলের মত।সবাই চায় তার ঘ্রাণ নিতে।তাই তাদের পর্দাবৃত হয়ে থাকতে হবে। ফলের বাকল ফেলে দিলে সে ফল নষ্ট হয়ে যায়।আবরণ মুক্ত কলা কালো হয়ে যায়। নারী এসব কিছুর চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান। তাই নারীরা নিজেদের পর্দাবৃত রাখা উচিত।
নারীর স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রথম সমাবেশ ১৯২০ সালে মিসরের মুরকাসায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রিয় নবীজি (সাঃ) এর সময় থেকে হিজরি চৌদ্দ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মুসলিম নারীরা পূর্ণ পর্দা করতো এবং তাদের চেহারাও ঢেকে রাখত। হিজরি চৌদ্দ শতাব্দীর শেষ ভাগে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা তথা খেলাফতের ধারা সমাপ্তির পরপরই মুসলিম সমাজে ইসলামি রীতিনীতি কে বিকৃতি পশ্চিমা উপনিবেশই প্রথম প্রধান ভূমিকা রাখে। ১৯২০ সালের পর কায়রোতে আবার নারী স্বাধীনতা আন্দোলনের সমাবেশ হয়। আশ্চর্যের বিষয় এই দুই সমাবেশেই মেয়েরা তাদের পরিধেয় বোরখাটি খুলে পায়ের নিচে মাড়িয়ে পরে একত্রে করে পুরিয়ে ফেলে। ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিন বইটা তেএকজন আল্লাহ আল্লাভিরু ও পর্দাশীল মেয়ে উরাইয ও তার বোন মিহাকে পর্দা সম্পর্কিত আলোচনা শুনাচ্ছে। পরপুরুষের সামনে পর্দা করার জন্য আল্লাহ কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। মুসলিম নারীদের চরিত্র হচ্ছে খাটি সোনার ন্যায়।পশ্চিমারা মুসলিম নারীদের একধাপেই পর্দা থেকে বের করতে পারে নাই, তারা বিভিন্ন কৌশলে ধাপেধাপে মুসলিম নারীদের পর্দা থেকে বের করেছে। ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিন বইটা তে এই সকল কথা গুলো সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে চেয়েছেন লেখক। তাই আমি বলব যে বর্তমানের সকল মেয়ে ছেলে উভয়ের এই বইটা পরা উচিৎ। তাহলে তারা বুঝবে যে মুসলিম ছেলে মেয়েদের পর্দার প্রয়োজনীয়তা কি?নারীর স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রথম সমাবেশ ১৯২০ সালে মিসরের মুরকাসায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রিয় নবীজি (সাঃ) এর সময় থেকে হিজরি চৌদ্দ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মুসলিম নারীরা পূর্ণ পর্দা করতো এবং তাদের চেহারাও ঢেকে রাখত। হিজরি চৌদ্দ শতাব্দীর শেষ ভাগে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা তথা খেলাফতের ধারা সমাপ্তির পরপরই মুসলিম সমাজে ইসলামি রীতিনীতি কে বিকৃতি পশ্চিমা উপনিবেশই প্রথম প্রধান ভূমিকা রাখে। ১৯২০ সালের পর কায়রোতে আবার নারী স্বাধীনতা আন্দোলনের সমাবেশ হয়। আশ্চর্যের বিষয় এই দুই সমাবেশেই মেয়েরা তাদের পরিধেয় বোরখাটি খুলে পায়ের নিচে মাড়িয়ে পরে একত্রে করে পুরিয়ে ফেলে। ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিন বইটা তেএকজন আল্লাহ আল্লাভিরু ও পর্দাশীল মেয়ে উরাইয ও তার বোন মিহাকে পর্দা সম্পর্কিত আলোচনা শুনাচ্ছে। পরপুরুষের সামনে পর্দা করার জন্য আল্লাহ কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। মুসলিম নারীদের চরিত্র হচ্ছে খাটি সোনার ন্যায়।পশ্চিমারা মুসলিম নারীদের একধাপেই পর্দা থেকে বের করতে পারে নাই, তারা বিভিন্ন কৌশলে ধাপেধাপে মুসলিম নারীদের পর্দা থেকে বের করেছে। ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিন বইটা তে এই সকল কথা গুলো সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে চেয়েছেন লেখক। তাই আমি বলব যে বর্তমানের সকল মেয়ে ছেলে উভয়ের এই বইটা পরা উচিৎ। তাহলে তারা বুঝবে যে মুসলিম ছেলে মেয়েদের পর্দার প্রয়োজনীয়তা কি?
বই : ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে লেখক : ড. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান আরিফী অনুবাদক : মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রকাশক : হুদহুদ প্রকাশ প্রকাশকাল : নভেম্বর, ২০১৫ ঘরানা : ইসলামিক বই পৃষ্ঠা : ১২৮ মুদ্রিত মূল্য : ২৪০ টাকা বইয়ের নাম দেখে মনে হচ্ছে কোন সাধারন গল্প বা উপন্যাসের বই। কিন্তু মোটেও তা নয়। সম্মানিত লেখক ইসলামে পর্দার যথাযথ বিধানকে কাহিনীর মোড়কে অত্যন্ত সুন্দরভাবে এখানে উপস্থাপন করেছেন। কুরআন ও হাদিসের আলোকে নারীর পর্দা সম্পর্কে বিধানগুলো ব্যখ্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। মুখ খোলা পর্দা বিষয়ে যে মতবিরোধ রয়েছে আলেম-ওলামাগণের মধ্যে, সে বিষয়েও সুন্দরভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রত্যেক মুসলিম ভাই-বোনদের অবশ্যই পঠনীয় একটা বই। অন্যদেরও যাদের ইসলামে নারীর অধিকার এবং পর্দার বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, তারা এই বই পড়লে সেসব ধারণা সম্পর্কে পরিস্কার হতে পারবেন, আশা করা যায়। পাঠ প্রতিক্রিয়া : অনেক সুন্দর একটা বই। তবে যেহেতু কাহিনী দিয়ে বিষয়গুলো আলোকপাত করা হয়েছে, সেহেতু কথোপকথন এর পরিমাণ আরো বেশি হলে ভাল হত। কিছু জিনিস পরিস্কার হয়নি, তবে সেটা অনুবাদের জন্যেও হতে পারে। রেটিং : ৯/১০