একটা সময় ছিল যখন একজন ব্যক্তি আলিম হওয়ার জন্য তাকে অনেকগুলো ধাপ পাড়ি দিতে হতো। যুগের শাস্ত্রজ্ঞ আলিমগণের সান্নিধ্যে থেকে অনির্দিষ্টকাল সাধনা করে প্রথমে মৌলিক বিষয়াদির জ্ঞানার্জন করতে হতো। সাথে সাথে অর্জিত জ্ঞানকে আমলেও পরিণত করতে হতো। কারণ, সালাফগণ আমলবিহীন ইলমকে ইলম হিসেবেই গণ্য করতেন না। আর এর পাশাপাশি একজন আলিমের গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য তো ধারণ করতে হতোই।
এককথায়, তারা শিক্ষার সাথে দীক্ষাও গ্রহণ করতেন। হাতেকলমে তা বাস্তবায়নের অনুশীলন করতেন। এ সবকিছুর পর তাদের উস্তাদগণ যখন তাদের ব্যাপারে স্পষ্টভাবে সত্যায়ন করতেন, তখনই কেবল তাদের আলিম হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু বর্তমানে আলিমকে পরিমাপ করার নেই কোনো মাপকাঠি।
ইমাম আবু বকর আজুররি বাগদাদি রহ.। চতুর্থ শতাব্দীর একজন বিদগ্ধ ইমাম। তিনি বক্ষ্যমাণ পুস্তিকায় একজন আলিমের স্বভাববৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন কুরআন, সুন্নাহ, আসার ও সালাফের কর্মপন্থার আলোকে। মূল প্রসঙ্গের ফাঁকে ফাঁকে আলোকপাত করেছেন আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। গ্রন্থটি কলেবওে ছোট হলেও একজন আলিম ও তালিবুল ইলমের জন্য এতে রয়েছে মৌলিক রাহনুমায়ি ও পথনির্দেশনা; যা অবলম্বন করলে এ পথের পথিকরা পেতে পারে প্রকৃত মানজিলে মাকসুদের সন্ধান।
সালাফগণের রচনার স্বাদ ও গন্ধ ভিন্ন। তারা কথা কম বলেন, তবে সর্বমর্মী বচন ব্যবহার করেন। লেখক রহ. সুঁইয়ের সূক্ষ্ম ছিদ্রের ভেতর আস্ত সিন্ধু ভরে দিয়েছেন। বইটির অনুবাদ নিরীক্ষণ করতে গিয়ে চেতনার এক বিস্তৃত দিগন্ত মানসপটে উন্মোচিত হয়েছে।