বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এবং চলমান মহামারি পরবর্তী অবস্থা বিবেচনায় শুধুমাত্র চাকুরি বাজারের উপর নির্ভর করে ক্যারিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা করলে বেকার হয়ে কাটাতে হবে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে বেকার আছে ৩০ লাখেরও বেশি। বাংলাদেশের বেকারের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি না করলে বেকারের হার বৃদ্ধি পেতে থাকবে। শুধু চাকরির পেছনে সময় নষ্ট না করে নিজে স্বপ্ন পুঁজি নিয়ে হলেও কাজ শুরু করা উচিৎ। তাহলে এই মূল্যবান নষ্ট হবে না। এটা সবার জন্যই মঙ্গলজনক। চাকরির পাশাপাশি তরুণ সমাজকে উদ্যোক্তা হতে চেষ্টা করা উচিত। নারীদের জন্য বাহিরে না গিয়ে ঘরে বসেই পরিবারের অন্যতম আয়ের সহযোগী হিসেবে দাড়ানোর একটি উপায় হচ্ছে উদ্যোক্তা হয়ে উঠা। এটা না হলে জনসংখ্যার চাপে জীবনযাত্রার মান আরও নিম্নমুখী হবে। স্বপ্ন পুজিতে কি কি বিজনেস করা সম্ভব, কিভাবে কি নিয়ে বিজনেস করবেন, কিভাবে বিজনেস পরিচালনা করবেন, কিভাবে বিক্রি বৃদ্ধি করবেন, ফেসবুক মার্কেটিংয়ের বিস্তারিতসব তথ্য নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে অত্যন্ত সহজ ভাষাতে একটা গাইডলাইন প্রদানের চেষ্টা করেছি। চলমান এ বিশ্ববাজারে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে এবং পরিবারের দারিদ্রতা দূরীকরনে একজন বিশ্বন্ত মেন্টর বা কোচ হিসেবে ভবিষ্যত তরুণ সমাজের জন্য উপহার হিসেবে এ বইটি রেখে গেলাম।
মোহাম্মদ ইকরাম
জন্ম ১৯৮২ সালের ২৫ জুন, ঢাকায়। চার ভাইবােনের মধ্যে ২য় ১৯৯৯ সালে যাত্রাবাড়ির এ, কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন, উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন। পিলখানার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুল রউফ কলেজে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।
পড়ালেখা অর্থনীতিতে হলেও ২০০০ সাল হতে আইটি চর্চায় নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন। ২০০৬ সাল হতে প্রফেশনালভাবে কাজ করছেন। মূলত হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, গ্রাফিক ডিজাইন, অ্যানিমেশন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে তার রয়েছে যথেষ্ট দক্ষতা। প্রফেশনালভাবেও এসব বিষয়ে দেশি এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজে কাজ করার পাশাপাশি নতুন দক্ষ জনগােষ্ঠী তৈরির পিছনে ২০১২ সাল হতে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং দেওয়ার সাথে যুক্ত থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক ব্লগিং, ইউটিউবে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল, পত্রপত্রিকায় ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন ফিচার লিখে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির বিভিন্ন উদ্যোগের সাথে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন পরিচালিত লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রজেক্টের চট্টগ্রাম ও সিলেট ডিভিশনের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।