অর্পিতা তার স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে যায় হিমালয়ে। হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে যায়নি ওরা, তবে ভারতের উত্তরপ্রদেশে হিমালয়ের এমন একটা অংশে গেছে, যেখানে রয়েছে একটা দেবতীর্থও। যাওয়ার পথে একের পর এক গাড়িতে চড়ে ওরা পার হতে থাকে ভয়ংকর সুন্দর সব জায়গা। কঠিন হিমালয়ের পাহাড় থেকে পাহাড়ে ছুটে চলে গাড়ি। পাহাড়ের গা বেয়ে সরু আর ঘোরানো রাস্তা, ধ্রুতবেগে বাসের ছুটে চলা। উঠতে উঠতে বাসে করেই সাড়ে দশ হাজার ফুট পর্যন্ত উঠে যায় ওরা। তারপর সেই দেবতীর্থে বদ্রীনাথজীর রূপ দর্শন। রোমাঞ্চকর ও লোমহর্ষক সেসব অভিজ্ঞতার আখ্যানভাগ নিয়েই লেখক লিখেছেন তুষারতীর্থ ভিন্ন মাত্রিক ভ্রমণোপন্ন্যাস। পড়তে পড়তে মনে হবে বরফমাখা হিমালয়ের বুকে অর্পিতাদের সাথে আপনিও ঘুরে বেড়াচ্ছেন সেই তীর্থভূমে।
মৃত্যুঞ্জয় রায়
মৃত্যুঞ্জয় রায়, কৃষিবিদ। বাড়ি খুলনায়। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে উদ্যানতত্ত্ব অর্থাৎ ফুল-ফল-সবজি বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। পরে ১৯৮৯ সালে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করেন। বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন পদস্থ কর্মকর্তা। পাশাপাশি লেখালেখিও করছেন। প্রথম আলো, নয়া দিগন্ত, সকালের খবর, সমকাল, সাপ্তাহিক ২০০০ সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে নিয়মিত লিখছেন। প্রকাশিত রচনার সংখ্যা দুই হাজারের ওপর। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪০। কৃষি ও চাষাবাদ বিষয়ক উল্লেখযোগ্য বই : বাংলার বিচিত্র ফল (দিব্য প্রকাশ), দেশের মাটিতে বিদেশী ফল (কৃষি কাগজ), প্রাকৃতিক উপায়ে উদ্ভিদ ও ফসলের বালাই দমন (অনিন্দ্য), ফলবাগানের পোকামাকড় (কৃষি কাগজ), বারো মাস সবজি চাষ (কৃষি কাগজ), ফসলের পুষ্টি সমস্যা ও প্রতিকার (কৃষি কাগজ), বিজ্ঞানভিত্তিক ধান চাষ (কৃষি কাগজ) ইত্যাদি। ভ্রমণ বিষয়ক উল্লেখযোগ্য বই : তুষারতীর্থ (অ্যাডর্ন), ডেনমার্কের দিনরাত্রি (উৎস), দেশ পেরিয়ে অন্য দেশ (অনিন্দ্য), অন্য সুন্দরবন (বাংলা প্রকাশ), দেখি বাংলার মুখ (প্রথমা)।