ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ পদ্মা নদীর পাড় ছুঁয়ে ছিলো আমাদের গ্রাম। রাতে যখন গ্রামের ওপর চাঁদের আলো এসে পড়তো, গ্রামটিকে তখন ছবির মতো সুন্দর আর রূপবতী মনে হতো। জোছনা মাখা রাতে আমাদের উঠোনে পাটি বিছানো হতো। আমরা ভাইবোনরা আর পাড়ার ছেলেমেয়েরা ছুটে এসে বসতাম সেই পাটির ওপর। তারপর শুরু হতো গল্প বসার পালা। অবশ্যই রাজা রাণী, রাজপুত্র-রাজকন্যা আর ফুলপরী-নীলপরীর গল্প। আমরা মুগ্ধ হয়ে রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে শুনতাম সে সব গল্প আর নিজেকে ভঅবতাম দিগ্ধিজীয় রাজপুত্র- রাজ্য আলো করা রূপবতী কোনো রাজকন্যা।
যে সব কতোকাল আগের কথা। অথচ সেইগল্প আর গল্প শোনার দিনগুলোর ছবি কতো জীবন্ত হয়ে বেঁচে আগে আমার মনের মাঝে!
আসলে রূপকথার গল্প এমন করেই সব বয়সী মানুষকে মুগ্ধ করে রাখে। সেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছে থেকেই ভিনদেশের কয়েকটি রূপকথার নিয়ে সাজানো হয়েছে তুষারকন্যা। সহজ সাবলীল শব্দ নিয়ে লেকা রূপকথাগুলো পাঠকদের ভালো লাগবে।
সূচিপত্র * তুষারকন্যা * পেরেকের স্যুপ * চাষিল বউ ও জেলের বউ * জ্ঞানী বুড়ো ও মূর্খ বাদশাহ * অদ্ভুত বিড়াল ও বুদ্ধিমতী * ডিকের বিড়াল * একটি আংটির জন্য * ভালো ভাই মন্দ ভাই * চালাক সওদাগর আর বোকা সওদাগর * নিপ্পোর ছেলেমেয়ে ও দুই দৈত্য * মন্ত্রীর সাজা
এনায়েত রসুল
এনায়েত রসুল স্বনামখ্যাত শিশু সাহিত্যিক মােহাম্মদ নাসির আলীর দ্বিতীয় পুত্র। ১৯৫৩ সালের ১২ জুন বিক্রমপুরের ধাইদা গ্রামে জন্ম। লেখাপড়া ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ওপর। লেখালেখির জগতে বিচরণ ১৯৬৫ থেকে। প্রথম লেখা ছাপা হয়েছে। ‘জুনিয়র রেডক্রস’ পত্রিকায়। ওটা ছিল ছড়া। সব বয়সী পাঠকদের জন্যে লেখেন এনায়েত রসুল। তবে মূলত শিশুসাহিত্যিক। শিশুসাহিত্য সৃষ্টিতে তার দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৮০। এনায়েত রসুলের পাঠকপ্রিয় বইগুলাের মধ্যে এক আকাশ মেঘ এক পশলা বৃষ্টি পােডড়া বাড়ি রহস্য ডক্টর নিপুর এক্সপেরিমেন্ট নিঝুমগড় ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্করের হাতছানি বাতিঘরের বুড়াে অন্যরকম বুবাই বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী চিকিৎসা বিজ্ঞানে আবিষ্কার চিচি বিজ্ঞানীদের জীবন ও আবিষ্কার এবং আমাদের জাতিসত্তা ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ উল্লেখযােগ্য। এনায়েত রসুল শিশুতােষগল্পের জন্য ইউনিসেফ ঘােষিত “মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড২০০৮' পদক অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক আমার দেশ’-এ সহ-সম্পাদক পদে কর্মরত। সেইসঙ্গে ছােটদের পাতা ‘এক্কাদোক্কা’ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন।