ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আবদুল কালাম জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৩১ সালে, ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। তার অল্প শিক্ষিত পিতা ছিলেন নৌকার মালিক। প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন কালাম এবং পরবর্তী সময়ে অসামান্য অবদানের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘ভারতরত্ন অর্জন করেন। এই বইয়ে নিজের শৈশব থেকে বেড়ে ওঠার অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন তিনি, সেই সঙ্গে তার পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলো। আরও এসেছে তার তৈরি অগ্নি, পৃথ্বী, আবাশ , ত্রিশুল ও নাগ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নেপথ্য-কাহিনী। ক্ষেপনাস্ত্র শক্তির দিক থেকে এগুলো ভারতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করে। এই পরমানু বিজ্ঞানী ব্যাক্তি জীবনে দৈনিক ১৮ ঘ্ন্টা কাজ করেন, এবং বীণা বাজাতে পারেন চমৎকার। তিনি ছিলেন চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটাল ট্রান্সফর্মেশনের অধ্যাপক।
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবুল পাকির জইনুল আবেদিন আবদুল কালামের জন্ম ১৯৩১ সালে, তৎকালীন মাদ্রাজের (বর্তমানে তামিলনাড়ু) দ্বীপশহর রামেশ্বরমে, এক মধ্যবিত্ত তামিল পরিবারে। পিতা জইনুল আবেদিন, মা আশিয়াম্মা। প্রথাগত শিক্ষান্তে, ড. কালাম ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও প্রতিরক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনার কাজে নিজেকে নিয়ােজিত করেন। প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী ও ক্ষেপণাস্ত্র যন্ত্রবিদ রূপে তার খ্যাতি অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হয়।
অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ, ত্রিশুল, নাগা ইত্যাদি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে তার অবদান ও কৃতিত্ব অপরিসীম। তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পেয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও বিজ্ঞানচর্চায় তার ভূমিকা বহুক্ষেত্রেই পথিকৃতের। প্রয়াণ: ২৭ জুলাই ২০১৫।
সহলেখক অরুণ তেওয়ারি একযুগের বেশি সময় ড. এ পি জে আবদুল কালামের অধীনে। হায়দরাবাদের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিতে (ডি আর ডি এল) কাজ করেছেন। শ্ৰীতিওয়ারি হায়দরাবাদের কার্ডিওভাসকুলার টেকনােলজি ইনসটিটিউটের অধিকর্তা।