পাকিস্তানের বন্দীশালা থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু উদার চিত্তে উভয় দেশের মানুষ গুলােকে বিনিময় করলেন। যার যার দেশে সেই সেই চলে গেল। সাতিল কিন্তু সে পথে আসে নাই। সাতিল বন্দীশালার অত্যাচার স্বচক্ষে দেখেছে। সে সকল বাঙালীদের সাথে করে নিয়েই কারাগারে থাকে। সাতিল যখন কারাগারে, তখন অসংখ্য বাঙালী কারাগারের অভ্যন্তরে অবস্থান করে। কারাগারে বাঙালীদের অকথ্য নির্যাতন করতাে। বেশীর ভাগ সময়ে সাতিল নিরবে কাঁদতাে। ওর অনেক কিছু করতে ইচ্ছে করতাে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে সাহস পায়নি সে।
এস এম ফজলুল হক
এস এম ফজলুল হক ১৯৫৬ সালের ২৯ শে এপ্রিল পাবনা জেলার অন্তর্গত বেড়া উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে জাতির পিতার আহবানে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল তাঁর। লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে নিজেকে নিয়ােজিত রেখেছেন। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা' পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়। তাঁর উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ হল রুপসি গায়ের ছন্দা, ছড়ায় ছড়ায় মুক্তিসেনা, ফজলুল হকের ছড়া’, ‘চলাে যাই টুঙ্গিপাড়া'। তিনি ঐতিহ্যবাহী ধােবাখােলা করােনেশন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে, নাটিয়াবাড়ীতে শিক্ষকতা পেশায় নিয়ােজিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি লেখালেখি ও এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।