শ্রাবণের সঙ্গে নদীর সম্পর্কটা আসলে কা? শুধুই বন্ধুত্ব?
শৈশবের এই সাথিটির সঙ্গে মেলামেশা আর অন্তরঙ্গতা ছিল চারপাশের আলো-হাওয়ার মতো সহজ ও স্বাভাবিক। কিন্তু কৈশোর পেরিয়ে এসে এই সম্পর্ক কি অজান্তে অন্য কোনো মোড় নেয়নি? নইলে নদীর কেন ঈর্ষা তুলিকে?
চারুকলার ছাত্র শ্রাবণ একদিন তার সহপাঠী টুটুলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল নদীর। লাজুক ও দ্বিধাগ্রস্ত শ্রাবণের তুলনায় টুটুল অনেক তুখোড় ও সাহসী। টুটুল সরাসরি প্রপোজ করে নদীকে। নদী কি সাড়া দেবে এই প্রস্তাবে? শ্রাবণের কাছেই পরামর্শ চায় সে। শ্রাবণ বলে, 'চোখ বুজে হ্যাঁ বলে দে।' টুটুলের সঙ্গে নদীর বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎ শ্রাবণের মৃত্যু পুরো ঘটনাটিকে টেনে নেয় অন্য খাতে।