আজ সকালে কথা হয়েছে মেঘবতীর সাথে। রোদ্দুর আসতে চায় ওর বাসায়। তা-ও আবার পড়ন্ত বিকেলের সোনারঙে। এমনিতেই ওদের নিয়ে এটা-সেটা লোককথা, তার ওপর গৃহসাক্ষাৎ! পরামর্শ দিলাম, ওসব বাদ। চলে যাও কোনো এক নদীর পাড়েঅ সেতু নামের সংযোগের নিচে দাঁড়িয়ে আরেকবার কাঁধে রাখো হাত। বলো….. মেঘবতী নীলাম্বরী, এসো কষ্টকে ভাগ করতে শুরু করি। তোমার জন্য কথামালা বইটিতে মেঘবতী-রোদ্দুরের প্রথম দেখা। এরপর উপহার তোমার জন্য কাব্যে মন বিনিময়। কাছাকাছি আসবার প্রত্যাশা দু’জনে লিখলো, আমি আজ সাজাবো তোমায় বৃষ্টির ফুলে ফুলে। সবশেষে আজ জোছনায় তোমার নিমন্ত্রণ বইটিতে ওরা কাছে পেলো একে আপরকে। তারপর… অনেক বোঝালাম মনটাকে। আর না ওদের কথার পেছনে গুপ্তচরগিরি। এবার শেষ। কিন্তু কী করি, মন যে মানে না! তাইতো গোপন অনুচরের মতো চলে গেলাম সেই পড়ন্ত বিকেলে, সেই নদী, সেই সেতু, সেই নোনাজলে…. তুমি আসবে বলে।
তৌহিদুর রহমান
জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে। বাবা এম.এ. মজিদ সরকার, মা লায়লা মজিদ। স্থায়ী নিবাস কুড়িগ্রাম। চার ভাই-বােনের মধ্যে সবার ছােট তিনি। চাকরিজীবী বাবার বদলির সুবাদে দশ স্কুল, তিন কলেজ আর আট জেলায় শিক্ষাজীবন। পিএইচডি হিসাববিজ্ঞানে। মেধাবী ছাত্র হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন প্রতিটি বিদ্যায়তনে। পেশায় শিক্ষক। বিচরণ লেখক হিসেবে। স্বপ্ন দেখেন দেশে একটি স্বতন্ত্র সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। কুড়িগ্রাম জেলার নিভৃত গ্রাম মধুপুরের আপন আঙিনায় তৌহিদুর রহমান সাহিত্য পরিষদ গড়বার।
লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে । উপন্যাস, ছােটগল্প, কবিতা, ছড়া, ছাপা হতাে বিভিন্ন স্থানীয়-জাতীয় দৈনিকে। লেখক হিসেবে প্রাপ্ত পদকগুলাের মধ্যে বনলতা সাহিত্য পদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, দেওয়ান হাছনরাজা, মহাকবি কায়কোবাদ স্বর্ণপদক উল্লেখ্য। উল্লেখযােগ্য প্রাপ্ত সম্মাননা: মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড, বামসাফে, ইউনাইটেড টেলিফিল্ম, স্বাধীনতা সংসদ, মাদার তেরেসা রিসার্চ সেন্টার।
উপন্যাসে স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করলেও কবিতা, ছােটগল্প, শিশু-কিশাের সাহিত্য সবদিকে তাঁর সমান বিচরণ।