মানুষের কল্পনার জগৎ বিশাল আর সেই কল্পনার জগতে মানুষের দেখা হয়ে যায় সেই মানুষের সাথে, যাকে সে লালন করে নিজের ভিতর নিভৃতে কোথাও। যার সাথে চলে দিবানিশির অসংখ্য কথামালা, আবেগ আর অনুভূতি। মূৰ্ছনা পাগলের মতাে ভালােবাসে এমন একজন মানুষকে, যার বাস এমনই কোনাে এক নিভৃতে কোথাও। যার লেখায় মূৰ্ছনা খুঁজে বেড়ায় নিজেকে আর সেই সাথে নিজের ভিতর আঁকে সেই লেখকের ছবি। আদিত্য রায়হান মানেই মূৰ্ছনার সেই কল্পনার জগৎ। যার লেখা বারবার পড়তে গিয়ে একসময় মূৰ্ছনা ভালােবেসে ফেলে সেই মানুষটিকেই কিন্তু জানে না লেখক শুধু লিখেই চলে, পাঠকের আবেগ তাকে সবসময় ছুঁতে পারে না। মূৰ্ছনা আর আদিত্য রায়হানের এই অসম প্রেম কখনও তাই ভাঙতে পারবে না বাস্তবতার দেয়াল যেখানে অনেক আগেই দাড়িয়ে আছে। রিদিতা নামের আরেকজন মানুষ। মূৰ্ছনা তবুও ছুটে যায়, আর কিছু নয় শুধু একবার আদিত্য বলুক তুমি আমার নীল ঝিনুকের গল্প।
ফারজানা মিতু
বইমেলা ছাড়াও যারা সারা বছর লেখালেখি করে ফারজানা মিতু তাদের অন্যতম। ১১ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া এই মানুষটির যত আবেগ সবটুকুই এই লেখালেখি। পর পর চার বছরে ২৭টি বইয়ে তিনি তার জাত চিনিয়েছে পাঠককে। তার পরকীয়াসহ অন্যান্য বই যারা পড়েছেন তারা জানেন ফারজানা মিতুর লেখা সম্পর্কে। কবিতা দিয়ে শুরু হলেও এখন একাধারে লিখে চলেছেন উপন্যাস। দেশের প্রায় সব শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকায় লিখে চলেছেন গল্প, কবিতা কিংবা প্রবন্ধ। লেখালেখির পাশাপাশি সামাজিক সচেনতামূলক বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে তিনি রাজপথের সৈনিক। ঘুরে বেড়িয়েছেন ৩৫টিরও বেশি দেশ। মানুষের সঙ্কীর্ণতা তাকে অবাক করে তাই নিজেকে সবসময় রাখতে চেয়েছেন সব সঙ্কীর্ণতার উর্ধে কারণ একজন লেখকের চোখ আর দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে স্বচ্ছ এটাই তার বিশ্বাস। মিতুর বইয়ের প্রধান উপকরণ যা পাঠককে টানে সেটা হচ্ছে— সহজ সাবলীল কথা। মিতু এমন ভাবেই কথা নিয়ে খেলেন, যা পড়ে পাঠক কখনও হাসবেন আবার কখনও কষ্টে নীল হবেন। মিতুর বই মানে কল্পনার অস্থির জগতে স্নান। আমন্ত্রণ থাকল সেই স্নান ঘরে আবারও কষ্টের নীলে নীল হবার।