তৃষ্ণা, পাহাড়ি কন্যার দূরন্তপনাকে মুঠো করে শিকড় সুদ্ধ তুলে ফেলার মত বিশ্রী সমাজে একটা মেয়ের ধীরেধীরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার গল্প৷ কৈশোরে বায়বীয় আবেগের দোলায় করে ফেলা সামান্য ভুলের মাশুল দিতে গিয়ে একটা জীবন দুঃসহ যন্ত্রণায় কাটিয়ে দেয়ার গল্প। একা বাঁচতে শেখা, জীবনকে নিজের মত করে গড়ে নেয়া, কঠিন বাস্তবতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। ভালোই তো আছি, তবুও কখনো কখনো তৃষ্ণার্ত হৃদয়টা কারো ভালোবাসা পাবার জন্য ব্যকুল হয়ে ওঠে। মনটা যেন মরে গেছে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। তবুও গভীর রাতে কারো থেকে দূরে থাকার বেদনায় বুকের ভেতর তীব্র যন্ত্রণার পিন ফুটতে থাকে। মনটা তো চায়, কেউ একজন খুব আদুরে করে ভালোবাসুক। কেউ বুকের ভিতর আগলে রাখুক ছোট্ট পাখির ছানার মতন। ভালোবাসার অনন্ত তৃষ্ণায় এক তৃষিত হৃদয়ের তৃষ্ণা আদৌ কি মিটবে? প্রিয়জনকে পেয়েও হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণাময়ী রাতগুলো ঠিক কিভাবে পেরিয়ে যায়? সেই তৃষিত হৃদয়কে অমৃত সুধার মত ভালোবাসার বর্ষণে সিক্ত করার গল্প তৃষ্ণা।
মিশু মনি
মিশু মনি। প্রখর আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মেয়েটি দূরন্তপনা ও উচ্ছলতার আরেক নাম। কথা শিল্পের মাধ্যমে অন্যকে একটি কল্পনার জগতে প্রবেশ করানোর মত গুনাবলি থেকেই লিখালিখিটা নেশা হয়ে যায় তার। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে জন্ম নেয়া এই মেয়েটি কৈশোরেই তার ব্যক্তিত্বের মাধুর্য দ্বারা অন্যকে আকৃষ্ট করতে থাকে৷ বাবার নাম মোঃ দুলাল ও মাতা মতিজান বেগম। রংপুরের ছায়াঘেরা গ্রাম "দেবী চৌধুরানী" তে জন্ম গ্রহণ করে শৈশব ও কৈশোর সেখানেই অতিবাহিত করেন। ২০১৬ সালে "চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়" থেকে মাধ্যমিক এবং ২০১৮ সালে "খাদিজা আবেদীন চৌধুরানী কলেজ" থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। মানবসেবা করার প্রবল ইচ্ছা তার রক্তে আন্দোলন তোলে৷ এ লক্ষ্যে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বর্তমানে তিনি "কক্সবাজার নার্সিং ইন্সটিটিউট" এ শিক্ষাগ্রহণ করছেন। সদ্য তারুণ্যে পা রাখা স্বনির্ভর এই নারী স্বপ্ন দেখেন সকল অসহায় নারীদের পাশে থেকে তাদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে দেয়ার৷ যার জীবনের মূলধারা হচ্ছে, সংগ্রাম, দেশপ্রেম, পরোপকারিতা ও ভালোবাসা দিয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটানো৷