জিম হকিন্স নামে এক রোমাঞ্চপ্রিয় কিশোর বাস করে সমুদ্র তীরের এক শহরে। জিমের মা সেখানে একটি সরাইখানা পরিচালনা করে এবং জিম তাকে সাহায্য করে। এক দিন সেই সরাইখানায় এসে হাজির হয় এক বদরাগী মেজাজের ঝগরাটে ক্যাপ্টেন। লোকটি হঠাৎ মারা গেলে তার একটি সিন্দুক থেকে একটি মানচিত্র পাওয়া যায়। যেখানে আঁকা রয়েছে রতœদ্বীপে যাওয়ার সমুদ্রপথ। এর পর জিমের আত্মীয় এবং শহরের লোকজন সেই দ্বীপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জিমকেও সাথে নেয় তারা। তদের এই যাত্রা রূপান্তরিত হয় এক দুঃসাহসিক অভিযানে।
তারপর শুরু হয় মূল কাহিনী। রবার্ট লুই স্টিভেন্সন চমৎকার ভাবে বর্ণনা দেন দুঃসাহসিক অভিযানের। জিম, ডাক্তার লিভজি, মিঃ ট্রলনি আর রেডরুথ এবং আরো কয়েক জন হিসপানিওলা নামক একটি জাহাজে করে সমুদ্রযাত্রা শুরু করে, গুপ্তধনের খোঁজে। তাদের সাথ বাবুর্চির কাজে যোগ দেয় এক পা বিহীন লং জন সিলভার। তার আসল পরিচয় তখনও কেউ জানে না। তার একটি পোষা টিয়ে পাখি ছিল। পাখিটিকে সে ক্যাপ্টেন ফ্লিন্ট বলে ডাকতো। ঘটনাচক্রে আপেলের পিপের ভেতর বসে জিম শুনে ফেলে জন সিলভারের চক্রান্তের কথা। জন সিলভার আসলে জলদস্যূ ক্যাপ্টেন ফ্লিন্টের সহযোগি ছিল। জিমের কাধে এসে পরে বিশাল এক দায়িত্ব। নিজে বাঁচতে হবে এবং বাঁচাতে হবে অনেককে। জিম কি পেরেছিল বাঁচাতে? গুপ্তধন পাওয়ার পর কি হয়েছিল? জানতে হলে পড়তে হবে ট্রেজার আইল্যান্ড উপন্যাসটি।
রবার্ট লুইস স্টিভেনশন
রবার্ট লুইস বালফার স্টিভেনসন, জাতীয়তা স্কটিশ। জন্ম ১৩ নভেম্বর ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে, এডিনবরা, স্কটল্যান্ডে পেশা : লেখালেখি, লিখেছেন: উপন্যাস, কবিতা, গল্প এবং ভ্রমণকথা নাগরিকত্ব : যুক্তরাজ্য শিক্ষা : ১৮৫৭ মিস্টার হেন্ডারসন স্কুলে ভর্তি হন, ১৮৫৯ সালে মি. হেন্ডারসন’স স্কুলে ফিরে যান। ১৮৬১ সালে এডিনবার্গ একাডেমি ভর্তি হন। ১৮৬৩ : আইলওয়ার্থ, মিডলসেক্সে বাের্ডিংস্কুল ১৮৬৪ : রবার্ট থমসন স্কুল, এডিনবরা অতপর ১৮৬৭ সালে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। সময়কাল ভিক্টোরিয়ান যুগ ৩ ডিসেম্বর ১৮৯৪ ভ্যালিমা, সামােয়ান দ্বীপপুঞ্জে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।