ট্রাভেল বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ বুক
এই বইটা একজন ভ্রমণ পিপাসুর জন্য বেশ উপকারী হবে বলে মনে করি, যদিও আমার তেমন ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ হয় না তবুও বইটা খুলে যখন টিক দেওয়া শুরু করলাম তখন অনেক ভালো লাগছিলো কারণ দূরে কোথাও না গেলেও নিজের বিভাগের অনেক জায়গায়ই আমার ঘুরা হয়েছে আর অনেক মজার খাবারও খাওয়া হয়েছে। বইয়ের খালি পৃষ্ঠাতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিখে রাখা যাবে ডায়েরীর মতো এবং কোনো ছবি থাকলে সেটাও লাগিয়ে রাখা যাবে। আমি নিশ্চিত অন্য বইগুলো পড়ার পর ফেলে রেখে ধূলো জমিয়ে ফেললেও এটার ক্ষেত্রে তা হবে না, কারণ যখনই কোথাও ঘুরতে গিয়ে আমরা ফেসবুকে চেকইন দেই, সেরকম এই বইটাতেও একটা টিক দিতে অবশ্যই ইচ্ছা করবে। আর তাছাড়া কোনো এলাকায় গেলে সেই এলাকার দর্শনীয় স্থান আর বিখ্যাত খাবার গুলোর সন্ধানও খুব সহজেই এই বইয়ের মধ্যে পাওয়া যাবে। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট না থাকলেও সমস্যা নেই যদি এই বইটা সাথে থাকে। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯
আমরা সবাই কমবেশি ঘুরি।কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে কোথোয় যাওয়া যায় ঘুরতে তা ঠিক করতে গেলে অনেক সমস্যা হয়।অনেক সময় দেখা যায়যে,অনেকে জানে না কোথায় কি আছে?সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য আয়মান ভাইয়া এইবারের বইমেলায় লিখেছেন এই বই।বইটিতে লেখক যে শুধু জায়গার নাম দিয়েছেন তা কিন্তু নয়।কোথায় কোথায় ঘুরা যায়,কি কি খাওয়া যায় তাও বলা হয়েছে।এই রকম বই আমি এই প্রথম দেখিছি।এর আগে এরকম বই বের হবে কখনো ভাবিনি।বইটি এককথায় অসাধার। বইয়ের যে জিনিসটা আমার আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো নিজে ঘুরার পর সে অনুভুতি লেখার জন্যও লেখক জায়গা রেখেছে। অনেক সময় দেখা যায় যে অনুভূতি কেউ কেউ ডাইরিতে লিখে।ডাইরিতে লিখলে দেখা যায় যে আরো অনেক কিছু লেখা হয়।যেমন প্রতিদিনের কাজ,প্রতিদিন কি কি করেছি তার লিস্ট সহ আরো অনেক কিছু থাকে।ফলে ডাইরিতে লিখলে তা পরে মনে থাকে না কোন ডাইরিতে লিখেছে।পরে দেখা যায় যে খুজে পেতে অনেক বেগ পেতে হয়,অনেক সময় খুজেও পাওয়া যায় না।সেক্ষেত্রে এই বইটিতে এই ঝামেলা নেই।জায়গার নাম লেখা আছে,খাবারের কথা বলা আছে,নিজের অনুভূতি লিখার জায়গা রয়েছে।তখন আর এত কষ্ট করতে হয় না।খুব সহজেই সবকিছু করা যায়।বইটিতে ঢাকা,চট্টগ্রাম,রাজশাহী,খুলনা,বরিশাল সহ আরো অনেক স্থানের কোথায় কোথায় যাওয়া যায় তা খুব সুন্দর করে লিখেছেন লেখক।যেসব জায়গায় ঘুরা হয়েছে,যেসব জায়গার খাবার খাওয়া হয়েছে,তার জন্য টিক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে করে পরের বার গেলে বুঝতে পারে যে কি কি গতবার খেয়েছিল,কোথায় কোথায় গিয়েছিল।এই বইটা আসলেই অনেক ভালো একটা বই।ঘুরার ক্ষেত্রে এই বইটি অনেক অনেক সাহায্য করবে সবাইকে।সবাই কম বেশি আমরা ঘুরি।বইটি পড়লে ঘুরতে যাবার সময় আর সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কথা না তবে একটা সমস্যা সবারই হবে আর তাহলো এতসব জায়গার নাম রয়েছে তখন কোথায় কোথায় যাবো তা ঠিক করতে সমস্যা হবে বলে আমি মনে করি।কারন তখন মনে হবে সব জায়গায় যাই।তাই এক্ষেত্রে সমাধানও আছে।এটাকে সমস্যা মনে না করে আস্তে আস্তে প্রায় সব জায়গায় একে একে করে গেলেই হবে।আস্তে আস্তে সব জায়গায় যাওয়ার প্লান করলে আরও ভালো।তাহলে সব জায়গায় ঘুরাও হবে,প্লান করার জন্য যে সময়তা আগে বিফলে যেত সে সময় তা বাচবে।আমার মত যারা ঘুররে ভালোবাসে এবং ঘুরার সময় বেগ পেতে হয় কোথায় যাবো কি খাবো তাদের জন্যই মুলত এই বই।তাই যারা ঘুরতে ভালোবাসে তাদের এই বইটি৷ কিনে ফেলা উচিত জলদি। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_মার্চ_২০১৯
একজন ট্রাভেল লাভার হয়ে এতোদিন ভাবতাম আমি তো কিছুই ঘুরে দেখি নি, শুধুমাত্র মানুষের ট্যুরের পোস্টে স্যাড রিয়েক্ট দেওয়া ছাড়া বাট বইটা হাতে পাওয়ার পর যখন ঢাকা এবং নিজের জেলার /বিভাগের অনেক গুলা জায়গায় ঘুরা হয়েছে বলে টিক দিতে পারলাম " মনের মধ্যে এক প্রকার উল্লাস কাজ করছে " ২০% ঘুরেছি _ দেখতে হবে বাকি ৮০% বাংলাদেশ ও ইনশাল্লাহ 🇧🇩 ও হ্যাঁ, আরেকটা কথা ঘুরার উদ্দেশ্যে যতবার জেলা আর জায়গা গুলা পড়া হবে, দেখা হবে তখন মনের অজান্তেই আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং গঁদ বাধা অনুসারে মুখস্থ না করেও মুখস্থ হয়ে যাবে কোন জায়গায় কি অবস্থিত, কোন জায়গায় কোন খাবার বিখ্যাত ❤ এমন আরও Challenge Book সামনে পাবো আশায় আছি। এমন একটি ভিন্ন ধর্মী বইয়ের জন্য ধন্যবাদ আয়মান সাদিক স্যার কে _ ইন্টারনেটে ঘেটে কোথায় কি আছে বের করে ঘুরতে গেলে যাও একটু বাদ পড়তো এখন তাও কারো পড়বে না ইনশাআল্লাহ #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯