প্রথম পরিচ্ছেদ * তওবার হাকীকত এবং সকলের জন্য উহা * আবশ্যক হওয়ার আলোচনা * তওবার ফজিলত এবং উহার আবশ্যকতা * তওবা সর্বাবস্থায় তাৎক্ষণিক ওয়াজিব * তওবা সকলের জন্য জরুরী * তওবা কবুল হয় শর্তসাপেক্ষ * তওবা সংক্রান্ত মহাজনদের উক্তি
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ * যেই সকল বিষয় হইতে তওবা করা হয় * মানুষের স্তর অনুযায়ী গোনাহের প্রকারভেদ * গোনাহ্ দুই প্রকার * কবীরা গোনাহের সংখ্যা * পাপ বর্জনের স্তর অনুযায়ী পরকালের ফায়সালা হইবে * ছগিরা গোনাহ কবিরা গোনাহে পরিণত হওয়ার কারণ * আলেমের ছগীরা গোনাহ্ কবীরা গোনাহে পরিণত হওয়ার
তৃতীয় পরিচ্ছেদ * পূর্ণাঙ্গ তওবা এবং উহার পরিচয় * বান্দার হক আদায় করা * একশত মানুষ হত্যাকারীর তওবা * তওবার ক্ষেত্রে তওবাকারীদের স্তরভেদ * তওবাকারী অপরাধ করিয়া ফেলিলে কি করিবে
চতুর্থ পরিচ্ছেদ * অব্যাহত গোনাহের প্রতিকার * আত্নার ব্যাধি অনুপাতে ওয়াজ * সাধারণ মানুষের উপযোগী ওয়াজ * অধ্যাহত গোনাহের দ্বিতীয় চিকিৎসা
হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী (রহ.)
আবু হামিদ মোহাম্মদ ইবনে মোহাম্মদ আল-গাজ্জালি বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) হিসেবে বেশি পরিচিত, মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শিক্ষাবিদ ইমাম আল-গাজ্জালির ১০৫৮ সালে ইরানের খোরাসানের তুশ নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নামটিও ছিল তাঁর নামের অনুরূপ, মুহাম্মদ। মুহাম্মদের পিতা অর্থাৎ ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)-এর দাদার নাম ছিল আহমদ। তাঁর পিতা মুহাম্মদ তখনকার সময়ে একজন স্বনামধন্য সূতা ব্যাবসায়ী ছিলেন। গাজল অর্থ সূতা, নামকরনের এই সামঞ্জস্যতা তাই তাঁর বংশকে গাজ্জালী নামে পরিচিত করেছে। আবার কারো মতে তিনি হরিণের চক্ষু বিশিষ্ট অপরূপ সুদর্শন ছিলেন, আর গাজাল অর্থ হরিণ, তাই পিতা মাতা তাঁকে শৈশবে আদর করে গাজ্জালী বলে ডাকতেন। উভয় বর্ণনানুসারে তাঁকে গাজ্জালী বা গাজালীও বলা হয়। তিনি সে সময়ে ইরানের শিক্ষা নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেন। জ্ঞান অন্বেষণের জন্য তিনি দেশভ্রমণেও বেরিয়েছিলেন। ১১১১ সালে তিনি মারা যান।