কোন পরিপ্রেক্ষিতে ও কীভাবে রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে, এ বইয়ে সে বিষয়ে আলোচনা আছে। এ ক্ষেত্রে কার কী ভূমিকা ছিল, সেটারও নির্মোহ বিশ্লেষণ পাওয়া যাবে এ বইয়ে।
একটি পরোক্ষ রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ১৯৯৬ সালে সংবিধানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছিল। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিনটি (১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে) জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনগুলো দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এরপর দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে একটি ‘একতরফা’ এবং ২০১৮ সালে আরেকটি ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ নির্বাচন হয়। যার ফলে নির্বাচনী ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পুরো প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট ঘটনাক্রম নিয়ে জনমনে নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত বিশেষ কমিটি ও উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়েও। এ বইয়ে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে যে রাজনৈতিক বিতর্ক বা সংকট চলছে, সেই সংকটের কারণ অনুসন্ধানের জন্য বইটি সচেতন নাগরিকদের অবশ্যপাঠ্য।
ড. বদিউল আলম মজুমদার
Title :
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রাজনীতি (হার্ডকভার)