সমকালীন বিশিষ্ট সাহিত্যস্রষ্টাদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির মৌলিকতা, রচনাভঙ্গির নিজস্বতা, বাস্তব-পর্যবেক্ষণ ও মনোবিশ্লেষণের উজ্জ্বলতায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশিষ্ট। তাঁর সেই বিশিষ্টতার পরিচয় এই গ্রন্থভুক্ত পাঁচটি উপন্যাস জননী, দিবারাত্রির কাব্য, পুতুল নাচের ইতিকথা, পদ্মানদীর মাঝি ও চতুষ্কোণ-এ আছে। উপন্যাস নির্বাচন ও গ্রন্থটির সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
আবুল মাল আবদুল মুহিত
লেখক, গবেষক, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক, প্রশাসক, পরিবেশবিদ ও অর্থনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৫শে জানুয়ারি, সিলেটে। তার পিতা তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের কর্ণধার অ্যাডভােকেট আবু আহমদ আবদুল হাফিজ, মাতা সিলেট মহিলা মুসলিম লীগের সহ-সভানেত্রী সৈয়দ সাহার বানু চৌধুরী। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে মুহিত কর্মজীবনের সূচনা করেন।
প্রায় তের বছর পূর্বপাকিস্তান এবং কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকারের চাকরি করে ১৯৬৯ সালে তিনি ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে অর্থনৈতিক কাউন্সিলর হিসেবে নিযুক্তি পান। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান ঘােষণা করে তিনি মার্কিন বিদ্বজ্জনমহল এবং সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ২৫ বছরের সরকারি চাকরিজীবনে তিনি পূর্বপাকিস্তানে বাগেরহাটে মহকুমা কর্মকর্তা, পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মিনিস্টার ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক, ম্যানিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং সবশেষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে ১৯৮১ সালে স্বেচ্ছা অবসরে যান।
১৯৮২ এবং ১৯৮৩ সালে তিনি বাংলাদেশের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন এবং এ সময় তিনি ESCAP-এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যােগ দেন এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০০৯-১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি পুনরায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইতিহাস, অর্থনীতি, প্রশাসন, ভ্রমণ, পরিবেশ, রাজনীতি এবং সুশাসন হচ্ছে তার লেখালেখির বিষয়। ইংরেজি ও বাংলায় প্রকাশিত তার বইয়ের সংখ্যা চব্বিশটির ঊর্ধ্বে।মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান এবং অন্যান্য কৃতিত্বের জন্য ২০১৬ সালে তিনি স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।