আফরোজা বুলবুল, জন্ম ১৯২৬ সালের ৪ঠা অক্টোবর, নারায়ণগঞ্জে। তাঁর প্রকৃত নাম প্রতিভা মোদক। উচ্চশিক্ষা লাভ করেন লেডি ব্রভাম কলেজে (Lady Brobham College)। তিনি ছোটবেলা থেকেই কোলকাতার বিভিন্ন কলেজ ও সংগঠনের অনুষ্ঠানে নৃত্য, গান ও মঞ্চ অভিনয়ে অংশগ্রহণ করতেন। আফরোজা বুলবুলের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী সাধনা বোস তাঁকে বোম্বের চলচ্চিত্র ভুবনে নৃত্য ও অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিয়ে আসেন। বোম্বে চলচ্চিত্র ভুবনে এসে তিনি পরিচিত হন তৎকালীন অভিনেতা ও অভিনেত্রী মতি লাল, নলিনী জয়বন্ত, ডেভিড, দুর্ঘা খোটে এবং চলচ্চিত্র পরিচালক মেহবুব খানের সঙ্গে। ১৯৪১ সালে মেহবুব খানের ‘বেহান’ চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন নলিনী জয়বন্ত-এর সঙ্গে। মেহবুব খানের অপর চলচ্চিত্র ‘আসরা’-তে করেন সঙ্গীত পরিবেশন। পরবর্তীকালে বোম্বের চলচ্চিত্র ভুবন ভালো না লাগায় আফরোজা বুলবুল কোলকাতায় ফিরে আসেন এবং বুলবুল চৌধুরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে বিভিন্ন নৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নেন। চল্লিশের দশকে উপমহাদেশের কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর সঙ্গে পরিচয় ঘটে প্রতিভা মোদকের। ১৯৪৩ সালে তিনি আফরোজা বুলবুল নাম গ্রহণ করে বুলবুল চৌধুরীর সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তাঁদের এই সুখী দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে বুলবুল চৌধুরীর জীবনাবসানের সঙ্গে সঙ্গে। বুলবুল চৌধুরীর মৃত্যুর পর আফরোজা বুলবুল পাকিস্তানের করাচিতে প্রতিষ্ঠা করেন বুলবুল ইনস্টিটিউট অব কালচার এবং ঢাকায় বুলবুল ললিতকলা একাডেমী (বাফা)। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুলবুল চৌধুরীর জীবনসাধনায় ব্রতী হন। আফরোজা বুলবুল তিন সন্তানের জননী-শহীদ বুলবুল, নার্গিস বুলবুল ও ফরিদ বুলবুল। শহীদ বুলবুল একজন সংগীতবেত্তা, নার্গিস বুলবুল ইংল্যান্ডে আছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে এবং ফরিদ বুলবুল একজন বৈমানিক। এই আত্মপ্রত্যয়ী প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী আফরোজা বুলবুল মারা যান ১৯৯০ সালে লন্ডনে।
Title :
Total Quality Management: Conventional And Islamic Approach