মুন্নির আদিরসাত্মক কৌতুক শুনে ইশান ভাই চাপা স্বরে হেসে উঠত। আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে জানতে চাইত, “বড় হয়ে তুমিও কি আমার মতো লুচ্চু হবা নাকি ভাইয়্যু?”
বড় হয়ে হাতি হব, নাকি ঘোড়া হব, সেই খবর তখনও জানা ছিল না। কিন্তু লুচ্চু হওয়া যে উচিৎ হবে না ঐটুকু ঠিকই বুঝতে পারতাম। তাই সজোরে মাথা ঝাঁকিয়ে উত্তর করতাম, “নাহ, আমি কাউকে বলব না কিছু।”
ইশান ভাই তৃপ্ত কন্ঠে বলত, “মান্টো আসলেই খুব ভালো ছেলে। এই জন্যই তো ওকে সঙ্গে করে নিয়ে আসি।” কিছুটা অভাবে আর কিছুটা স্বভাবেই বোধহয় মুন্নি দিনে দিনে খুব বেপরোয়া হয়ে উঠছিল।
রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় খুব কায়দা করে বুকের দিকটা উঁচু করে সামনের দিকে ঠেসে রাখত। ক্ষণে ক্ষণে শাড়ির আঁচল ছলকে পড়ত। বাইরে বাইরে সকলেই নাক সিটকে মেয়েটার সমালোচনা করলেও, রাতের ঘটনাগুলি ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।