ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ টমাস হার্ডি (১৮৪০-১৯২৮) একজন কালজয়ী লেখক। কথাশিল্পী এবং নাট্যকার উভয়ত। কথাশিল্পী হিসেবে তাঁর গভীর জীবননিষ্ঠা। , বাস্তববাদ, স্নিগ্ধ কৌতুকবোধ ও মনস্তাত্তিক পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা তাঁকে বিশ্বের প্রথম সারির লেখক হিসেবে পরিণত করেছে। টমাস হার্ডির সাহিত্যকর্মে যে বস্তু সত্যিকার পাঠক বা সমালোচকেরা দৃষ্টি অনিবার্য ভাবে আকর্ষন করে তা হল- তাঁর সততা ,তাঁর করুণা, আর তাঁর ক্রোধ। সাহিত্যিক নিষ্ঠায় টমাস হার্ডি অনন্য। যা নিয়ে তিনি লিখেন সে সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান প্রত্যক্ষ ও গভীর । হালকা ভাবে চটুল ভঙ্গিতে শুধু লেখার জন্য লেখা তাঁর সাহিত্যকর্মের অঙ্গীভূত নয় । সমাজের নানা স্তরে অন্যায়-অবিচার তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন, তাঁকে গভীর ভাবে নাড়া দিয়েছে। ভাগ্যবিড়ম্বিতের জন্য তাঁর মনে জেগেছে অপরিসীম দরদ আর অন্যায়কে যারা জন্ম দেয়, শোষণ করে নেয়, চিরস্থায়ী করে রাখতে চায়, তাঁদের প্রতি তাঁর ক্রোধ দুর্দম। প্রগাঢ় জীবনবোধে টমাস হার্ডি সাহিত্য উদ্দীপ্ত। জীবনের প্রতি টমাস হার্ডি সর্বব্যাপি শ্রদ্ধা এভং বাস্তবকে অস্বীকার না করে কল্পনার রাজ্যে তাঁর স্বচ্ছন্দ বিহার , কি চরিত্র সৃষ্টিতে , কি ঘটনার পরিবেশনে, টমাস হার্ডির সাহিত্যকে একাধারে বাস্তবমুখী ও কল্পনায় সুষমামন্ডিত করেছে। কিন্তু টমাস হার্ডির আসল পরিচয় কুশলী ঔপন্যাসিক হিসেবে। তাঁর কাহিনী আমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সহজেই টেনে নিয়ে যায়। তাঁর উপন্যাসের পাত্র-পাত্রীরা আমাদের খুব কাছের মানুষ হয়ে ওঠে। আমরা তাদের সঙ্গে একাত্নতা অনুভব করি।উপন্যাস লিখে টমাস হার্ডি সারা বিশ্বে তাঁর জীবতকালেই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। বর্তমানেও তিনি সমানভাবে বিশ্বে সমাদৃত। সূচিপত্র * বৃত্তের বাইরে * মর্ত্যের মানুষ * পাখির পালন * সবুজ সন্দেশ