পুবদিকেও হাইরাইজের কাজ শুরু হয়েছে। কিছুদিন বাদে পুব আকাশের দখলও নিয়ে নেবে ইট, সিমেন্ট, কংক্রিট। পার্টি অফিসগুলো দোতলা হয়ে যাচ্ছে। মেঝেতে টাইলস্ বসছে। মার্বেলের সিঁড়ি। কিছুদিন বাদে সকালবেলার রোদ আর শাশ্বত পাবে না। অথচ খুব রোদের দরকার শাশ্বতর। প্রতিদিনই মনে হয় তার শরীরের রক্ত আজ আরও একটু শীতল হয়ে গেল বুঝি। আগের মত আবার বুঝি স্থবির হয়ে পড়বে। শীতঘুমে যাওয়ার সময় হল তার। এভাবেই ভাঙনের কথা দিয়ে শুরু হয় এই উপন্যাস। মিতাকে আগুনে জ্বালিয়ে মারতে চেয়েছিল তার স্বামী। বুকে পোড়া ঘায়ের যন্ত্রণা নিয়ে মিতা আর উদাসীন শাশ্বত একসঙ্গে গিয়েছিল নিখিল বিশ্বাস নামের আশ্চর্য এক মানুষের কাছে।