তোমার স্মরণে হে রাসূল
মানুষ কেন 'কবীরা গুনাহে' লিপ্ত হয়, তার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে প্রাচীন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ৩ টি জিনিস চিহ্নিত করেছেনঃ ১. মানুষের মস্তিষ্কপ্রসূত ঐসব চিন্তা ভাবনা, যা মানুষকে বিপর্যের দিকে ঠেলে দেয়। ২. মানুষের ক্রোধ-শক্তি। ৩. মানুষের কাম-শক্তি। এই তিনটির অনিবার্য পরিণতি হিসেবেই শিরকের প্রকাশ ঘটে। ছড়িয়ে পড়ে খুনখারাবি ও ব্যভিচার। সাম্প্রতিককালের গবেষণায়ও মানবাত্মার উৎকর্ষের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এই ৩ টি জিনিসকেঃ ১. মানুষের বিবেকবুদ্ধি। ২. মানুষের ইচ্ছে ও স্বাধীনতা। ৩. মানুষের আবেগ-অনুভূতি। এই তিনটি জিনিসে অবক্ষয় দেখা দিলেই উপরিউক্ত তিনটি মারাত্মক গুনাহের শিকার হয়ে পড়ে মানুষ, অর্থাৎ, সীমাহীন নির্বুদ্ধিতা, অজ্ঞতা ও মুর্খতার পরিণাম হলো "শিরক"। আর মানুষের ইচ্ছা ও নিয়ন্ত্রণ শক্তি যখন বল্গাহারা ও বে-কাবু হয়ে যায়, তখনই মানুষ মানুষকে খুন করে। এগিয়ে যায় ধ্বংসের দিকে। আর নিজের আবেগ, অনুভূতির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়, তখনই মানুষ লিপ্ত হয় ব্যভিচার, পাপাচারে। মানবজাতি যখনই যেখানে ধ্বংস হয়েছে, এইসব মারাত্মক অপরাধে লিপ্ত হওয়ার কারণে ধ্বংস হয়েছে। বইঃ তোমার স্মরণে হে রাসূল!