সেপ্সটাইম- আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে কৌতুহল-উদ্দীপক বিষয়গুলাের একটি। পদার্থবিজ্ঞানের যে অংশে এই বিষয়টি নিয়ে আলােচনা করা হয় সেটাই আপেক্ষিকতার তত্ত্ব। বিজ্ঞানে আপেক্ষিকতার ইতিহাস বেশ পুরনাে। আপেক্ষিকতা এবং আইনস্টাইন- নাম দুটো যেন এক সূত্রে গাঁথা। তবে গ্যালিলিও ও নিউটনকে বাদ দিয়ে আপেক্ষিকতার আলােচনা স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা চলে না। বইটিতে আপেক্ষিকতার আলোচনা আছে একেবারে গােড়া থেকে; ধারাবাহিকভাবে যেটা এগিয়ে চলেছে এর নিজস্ব ভঙ্গিতে। আছে আইনস্টাইনের বৈচিত্র্যময় জীবনী ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান সংক্রান্ত আলােচনা। এদিকে আপেক্ষিকতায় গণিতের ব্যবহার বেশ লক্ষনীয়। ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে বইয়ের প্রথম অংশে গাণিতিক সমীকরণকে পাশ কাটানাে হলেও গাণিতিক সিদ্ধান্তগুলােকে স্থান দেয়া হয়েছে বইয়ের পরিশিষ্টাংশে। সহজ-সরল ভাষার পাশাপাশি সমীকরণনির্ভর এই সিদ্ধান্তগুলাে তত্ত্বটিকে আরাে ভালােভাবে বুঝতে ও উপলব্ধি করতে সহায়ক হবে বলে মনে করি
তৌহিদুর রহমান উদয়
চিকিৎসক ও বিজ্ঞান লেখক। লেখালেখির বিষয় মূলত তত্ত্বীয় জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান। তবে বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত যেকোনাে বিষয় নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন। বিজ্ঞানের জটিল তত্ত্বীয় বিষয়গুলােকে যতটা সম্ভব সহজ-সরল, আকর্ষণীয় ও সকলের বােধগম্য করে উপস্থাপন করার বিষয়টাকে অধিক গুরুত্ব দেন। তিনি মনে করেন, বিজ্ঞানে আগ্রহী যে কেউ কেবলমাত্র নিজের ইচ্ছাশক্তি ও চেষ্টা দিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার পথে সকল প্রকার বাধা অতিক্রম করতে পারে। তার মতে, বিজ্ঞানের যেকোনাে বিষয়কে যেকোনাে মানুষের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন করা সম্ভব। বিজ্ঞানকে তিনি কতিপয় মানুষের মাঝে। সীমাবদ্ধ রাখার ঘাের বিরােধী। বিজ্ঞানের প্রতি ভালােবাসা থেকে বিজ্ঞান পড়েন, বিজ্ঞান লিখেন। বিভিন্ন বিজ্ঞান সংগঠন ও বিজ্ঞান সংস্থার সাথে জড়িত আছেন, নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন বিজ্ঞান ব্লগ ও বিজ্ঞান পত্রিকায়।