শাওনের চোখে ঘুম নেই বার বার শুধু কনকের কথা মনে পড়ছে। কনক আসলে কাকে ভালবাসে? কার প্রেরণায় সে কবিতা লিখছে? শাওন একবার মেঘলার কথা কল্পনা করল। না, কনকের মতো ট্যালেন্ট, স্মার্ট, সুদর্শন ছেলে কখনো মেঘলার মতো সেকেলে মেয়েকে ভালবাসতে পারে না। তবে কি আঁখিকে? আর আমি? আমিই বা কম কিসে? না নিশ্চিন্ত না হয়ে সে আজ সারারাত ঘুমাবে না। প্রথমে কনককে জিজ্ঞেস করবে সে আসলে কাকে ভালবাসে? কিন্তু কনক যদি জিজ্ঞেস করে জেনে তোর লাভ কি? তখন কি বলবে সে? কিংবা যদি বলে আঁখিকে ভালবাসি তবে কি করবে সে? না আর ভাবতে পারছে না শাওন। আবার কনকের সাথে ব্যাপারটা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তার ঘুমও আসছে না। অবশেষে শাওন কনককে মোবাইল করল। কনকের মোবাইল ব্যস্ত। কনক আঁখির সঙ্গে কথা বলছে না তো। শাওন বার বার চেষ্টা করেই চলছে, কনকের মোবাইল ফ্রি হলো সতের মিনিট পর। অপর পাশ থেকে কনকের কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, হ্যালো..
জিল্লুর রহমান
জিল্লুর রহমান ০১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ খ্রি. দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: মৃত: ইউনুছ আলী, মাতা: মোছা. মরিয়ম নেছা। মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর ধর্মপুর ইউ.সি দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউট থেকে প্রথম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। পাশাপাশি বিরল কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি স্কাই টাচ এ্যাপার্টমেন্ট, বেসরকারি সংস্থা কারিতাস এবং নটরডেম কলেজে দীর্ঘ দিন কাজ করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগদান করেন।
লেখালেখির অভ্যাস ছাত্রজীবন থেকেই, তাঁর লেখা প্রথম কবিতা দৈনিক তিস্তা পত্রিকায় তারপর দৈনিক উত্তর বাংলাসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।