একচোখা মানুষের আজব এক গ্রহ। সে গ্রহের সবারই একটি করে চোখ। চোখটি ঠিক কপালের মাঝখানে। গ্রহটির নাম টিউটল। টিউটল আসলে বড় কোনো গ্রহ নয়। ওখানকার আকাশ হলদে রঙের। মাটির রঙ ধবধবে সাদা। উদ্ভিদ প্রাণী আছে পর্যাপ্তই। গাছপালা, প্রাণীকূল ছোট ছোট। গাছের পাতা বিচিত্র রঙের। দেখলে মনে হবে বুঝি সারা গাছেই ফুল ফুটে আছে। আসলে ওগুলো ফুল নয়। গাছের পাতা। বর্ণিল পাতা। টিউটলে চতুস্পদী প্রাণী আছে কেবল সাত প্রকার। ওদেরও একটি করে চোখ। কপালের মাঝখানে টর্চের মতো জ্বলজ্বলে চোখ। একেক জাতের প্রাণীর গায়ের রঙ আবার একেক রকম। ওখানকার নদীর জল সাদা। লালচে পাহাড়। পাখপাখালি যা আছে সবই রংধনুর সাত রঙে রঙিন। বড়ই অদ্ভুত জগৎ টিউটল, তাই না? টিউটলের রহস্যময় মজাদার কাহিনী জানতে হলে পড়তে হবে জসীম আল ফাহিম-এর বিজ্ঞান কল্পকাহিনী টিপটিপি ও টিউটিউ।
জসীম আল ফাহিম
জন্ম ১৯৭৯ সালের ৩১ আগস্ট। পৈত্রিক নিবাস সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর গ্রামে। পিতা মোহাম্মদ আবদুল হাবিজ। মাতা ফাতেমা বেগম। লেখালেখি করেন ছোটবেলা থেকেই। গল্প লিখেন। উপন্যাস লিখেন। ছড়া-কবিতা লিখেন। বর্তমানে তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটি সিলেটে কর্মরত। লেখালেখির স্বীকিৃতিস্বরূপ জসীম আল ফাহিম ইউনিসেফ কর্তৃক ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০০৭’ এবং কেন্দ্রিয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট কর্তৃক ‘কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পদক ২০০৯’ অর্জন করেন। শিশুকিশোরদের জন্য তার প্রকাশিত বই গল্পগ্রন্থ: ফুলখুকি, ঘাসফড়িঙের জন্মদিন, দুষ্টুমামা মিষ্টিমামা, পরীকুমার, জলপরী, কাঠবিড়ালী পিংকি, ছয় ডিটেকটিভ, কল্পমেঘের গল্প, ফুল পাখি আর প্রজাপতি, ঝিনুক কুমার, শিল্পী পাখি, পিউ আর পরীরানী এবং আবীরের গল্প। উপন্যাস: ভূচং ও চূচং, আনুপাগলীর মুক্তিযুদ্ধ এবং তৃণলতা।