ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ বিগত প্রায় চার দশক জুড়ে স্বদেশের অতীত ও সমকাল, নগর ও গ্রাম এবং মানব অস্তিত্বের সমগ্রতাকে সাহিত্যের ভাষ্যে ধারণ করার দুরূহ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন এদেশের শীর্ষ স্থানীয় লেখক শওকত আলী। তাঁর লেখায় মানুষ প্রকৃতি ও সময় মেশামেশি হয়ে থাকে। জীবনের জায়মান বাস্তবতাকে যেমন ধারণ করেন, তেমনি একই নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় ভবিষ্যত স্বপ্নের দিকেও তিনি দৃষ্টিপাত করেন। বড় মমতা দিয়ে তিনি গড়ে তোলেন তাঁর উপন্যাসের চরিত্রকে। তারা পাঠকের ভালবাসা আর সমবেদনা কেড়ে নেয় অতি সহজেই। ছোটগল্প রচনায় মৌলিক অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন ১৯৬৮-তে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘যাত্রা’ রচনার জন্য বাংলাদেশ লেখক শিবির তাঁকে হুমায়ূন কবির স্মৃতিপুরস্কার দান করে ১৯৭৭-এ। শ্রেষ্ঠ উপন্যাস রচনার জন্য ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন দু’বার। সূচিপত্র *স্ববাসে প্রবাসে *তনয়ার স্বীকারোক্তি *জোড় বিজোড়
শওকত আলী
বিগত চার দশক জুড়ে স্বদেশের অতীত, সমকাল নগর ও গ্রাম এবং মানব অস্তিত্বের সমগ্রতাকে সাহিত্যের ভাষ্যে ধারণ করার দূরূহ কাজে নিয়ােজিত রয়েছেন এদেশের শীর্ষ স্থানীয় লেখক শওকত আলী। তাঁর লেখায় মানুষ প্রকৃতি ও সময় মেশামেশি হয়ে থাকে। জীবনের জ্ঞান বাস্তবতাকে যেমন ধারণ করেন, তেমনি একই নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় ভবিষ্যত স্বপ্নের দিকেও তিনি দৃষ্টিপাত করেন। বড় মমতা দিয়ে তিনি গড়ে তােলেন তার গল্প ও উপন্যাসের কুশীলবাদ। তারা পাঠকের ভালবাসা আর সমবেদনা কেড়ে নেয় অতি সহজেই। ছােটগল্প রচনায় মৌলিক অবদানের জন্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৮ তে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস ‘যাত্রা’ রচনার জন্য বাংলাদেশ লেখক শিবির তাকে হুমায়ন কবির স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করেন। ১৯৭৭-এ শ্রেষ্ঠ উপন্যাস রচনার জন্য ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন দু’বার, ১৯৮৬তে ‘দক্ষিণায়নের দিন এবং ১৯৯২তে ‘উত্তরের খেপ' বাংলা উপন্যাস রচনায়। মৌলিক অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশ পদকে ভূষিত হন ১৯৯১-এ। এছাড়া সাহিত্য ক্ষেত্রে মৌলিক অবদানের জন্য তাকে অর্জিত গুহ পুরস্কার দেওয়া হয় ১৯৮৪ তে। আলাওল পুরস্কার ১৯৮৯ এবং সৈয়দ গােলাম মরতুজা স্মৃতি পুরস্কার ১৯৯৮ তে তাকে দেওয়া হয়। শওকত আলীর জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ এ পশ্চিম বঙ্গের ময়গঞ্জে, তাদের পুরুষানুক্রমিক বাস্তুভিটায়। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবি ডাক্তার খােরশেদ আলী সরকার ও মরহুমা সালেমা খাতুনের দ্বিতীয় পুত্র।