বিজ্ঞান শুধু মানুষের দ্বন্দ্ব দূর করবে এমনটা নয়, বিজ্ঞান মাঝে মাঝে মানুষকে দ্বন্দ্বে ফেলে দেওয়ার জন্যও যথেষ্ট। যেমন: গণিতবিদ মরগান তাঁর প্রকাশিত পান্ডুলিপিতে প্রমাণসহ উপস্থাপন করেন ‘1 = 0’, গণিতবিদ লুইস ক্যারোল যুক্তি দিয়ে দেখিয়ে দেন যে নষ্ট ঘড়ি ধীরে চলা ঘড়ির থেকেও বেশি সঠিক সময় দেয়, জেনো প্রমাণ করে দেখান যে ধীরে চলা কচ্ছপও সবচেয়ে দ্রুতগামী মানুষের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জয়ী হতে পারে!
এর মানে হলো, এ সবকিছুই ‘Parodox (প্যারাডক্স)’।
আলো থেকে শুরু করে, আমাদের চিন্তা, বিজ্ঞান, সময়, গতি, এমনকি এই বিশাল মহাবিশ্ব একটি জটিল প্যারাডক্স। প্রাচীন গ্রিকের অধিবাসীরা বিশ্বাস করত যে প্যারাডক্স মানব মস্তিষ্কের চিন্তার খোরাক, যা মানুষকে শুধু চিন্তা করতে শেখায় না; বরং একই সঙ্গে মানুষকে কৌতূহলী করে তোলে। প্যারাডক্স গোলক ধাঁধার মতো, যার একটির সমাধান আবার হাজারখানেক নতুন প্রশ্নের সৃষ্টি করে, সৃষ্টি করে নতুন নতুন কৌতূহলের, ফলে বিজ্ঞানীদের আবার ডুব দিতে হয় জ্ঞানের সাগরে।
আর সেই জ্ঞানের সাগরের যাত্রীদের জন্য এই বইটি, যারা ভবিষ্যতে জ্ঞানের সমুদ্রে সাঁতার কাটবে নতুন কোনো কৌতূহলের সমাধান খুঁজতে এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম সমুজ্জ্বল করে তুলবে নতুন কোনো কৌতূহলের সমাধান বের করে।