হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সুজলা-সুফলা-শস্যশ্যামলা সমুদ্রমেখলা-অরণ্যকুন্তলা সোনার বাংলা দু’শতকের ইংরেজ ও দু’যুগের পাকিস্তানি শোষণে হারিয়েছিল গোলাভরা ধান, গোয়ালভরা গরু আর পুকুরভরা মাছ। অসহযোগ-খেলাফত আন্দোলন প্রথম নাড়া দিয়েছিল সেই ইংরেজ-রাজকে। তারপর স্বাধীন ভারতবর্ষের স্বপ্ন, ১৯৪০-এর লাহোর প্রস্তাবে ভারতীয় মুসলমানদের কয়েকটি দেশগঠনের আকাঙ্ক্ষা, ৪৬-এ পাকিস্তানের পক্ষে বাঙালি মুসলমানদের নিরঙ্কুশ সমর্থন, অল্পসময়ের মধ্যে স্বাধীন অবিভক্ত বঙ্গের অভিলাষ এবং ৪৭-এর দেশবিভাগ-এই দীর্ঘযাত্রায় কর্মীপথিক ছিলেন শেখ মুজিব। দেশভাগের অল্প সময়ের মধ্যেই বোঝা গেল নতুন শেখল লেগেছে বাঙালির পায়ে। ভাষা-আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের বিজয়, পূর্ব বাংলার স্বাধিকারের সংগ্রাম - এ চলার পথে কর্মী থেকে নেতা হয়ে উঠেন শেখ মুজিবুর রহমান। ৬৬-র ৬ দফা আন্দোলন ও ৬৯-এর গণ-অভ্যূত্থান মুজিবভাই পরিণত হন বঙ্গবন্ধুতে। ৭০-এর নির্বাচনের ঐতিহাসিক বিজয়ে তিনি বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। ১৯৭১-এর ৭ মার্চের বজ্রকণ্ঠের ভাষনের পথ ধরে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক হয়ে বাঙালির হৃদয়ে চিরস্থায়ী আসন করে নেন জাতির জনকরূপে। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর ৭২- এর ১০ জানুয়ারি জনক বীরের বেশে ফিরে আসেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে। তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণের ব্রতে শুরু করেন নতুন যাত্রা। আর এভাবেই বাঙালির হৃদয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চির-অমর।
অরিড প্রেস
Title :
সময়রেখা ইনফোগ্রাফ : শিল্পশৈলিতে ও চুম্বক বর্ণনায় বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবন (পোস্টার)