কিছু কথা শিল্পপতি রাকেশ চৌধুরীর বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায় শহরের ব্যস্ততম এলাকা চৌরাস্তায়। তার বিচ্ছিন্ন মাথাকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে উৎসুক জনতা। রাকেশ চৌধুরীর খুনের সংবাদ পেয়ে ছুটে আসে সিআইডির চৌকশ অফিসার ডিএসপি তামান্না হায়দার এবং এ সময়ের আলোচিত ক্রাইম রিপোর্টার রানা রহমান। তামান্না হায়দার উৎসুক জনতার ভীড় ঠেলে এগিয়ে এসে রাকেশ চৌধুরীর বিচ্ছিন্ন মাথা দেখে স্তম্ভিত হয়।
শুধু তামান্না হায়দারই নয়, স্তম্ভিত হয় রানা রহমান-ও। রাকেশ চৌধুরীর খুনিকে সনাক্ত করার জন্য ডিএসপি তামান্না হায়দার এবং ক্রাইম রিপোর্টার রানা রহমান শুরু করে ইনভেস্টিগেশন। রাকেশ চৌধুরীকে খুনের কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে শহরের একটি অভিজাত হোটেল থেকে অপহরণ হয় এসপি শাহেদ। অপহরণের এক ঘন্টার মাথায় এসপি শাহেদের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায় শহরের একটি নির্মানাধীন বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডে। এসপি শাহেদের খুনের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বিস্মিত হয় ডিএসপি তামান্না হায়দার। হোটেলের সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় এসপি শাহেদকে অপহরণ করে মানবাধিকার নেত্রী মেহের আফরোজের ব্যক্তিগত সহকারী রোকসানা হোসেন। তামান্না হায়দার এবং ক্রাইম রিপোর্টার রানা রহমান যখন রোকসানা হোসেনকে গ্রেফতারের অভিযানে নামে তখন তার বাড়ির পেছনের জঙ্গলে পাওয়া যায় রোকসানা হেসেনের গলাকাটা লাশ। রোকসানা হোসেনের খুনের ব্যাপারে তামান্না হায়দারের প্রাথমিক সন্দেহ হয় মানবাধিকার সংগঠনের নেত্রী মেহের আফরোজকে। তাকে গ্রেফতারের জন্য তামান্না হায়দার তার বাড়িতে এসে দেখে মেহের আফরোজের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে মেঝেতে। তাকেও খুন করা হয় গলাকেটে।