জীবনের মূল্য আসলে কত?
কুসুনোকি বিশ্বাস করতো যে, তার জন্য ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু একটা অপেক্ষা করছে। ছোট থেকেই স্কুল আর বাসাতে অবহেলার শিকার হওয়া কুসুনোকি আঁকড়ে ধরে রেখেছিল এতটুকু বিশ্বাস, সামনে সুদিন অপেক্ষা করছে। বিশ বছরে পা দেবার পর সে আবিষ্কার করলো, এখন সাধারণ মানের এক কলেজপড়ুয়া ছাত্র থেকে বেশি কিছুতে পরিণত হতে পারেনি সে। কোনো আশা নেই, স্বপ্ন নেই, এমনকি হাতে টাকাও নেই। অদ্ভুত এক বিষন্নতা ঘিরে ধরলো তাকে। এভাবেই কি বেঁচে থাকতে হবে? তাই যখন সে জানতে পারলো নিজের আয়ু বিক্রি করা সম্ভব, তখন ইতস্তত করবার তেমন আকাঙ্খা সে অনুভব করেনি। জীবন থেকে তিনমাস বাদে বাকি সবটুকু সময় বিক্রি করে দিল সে। তিনটা মাস কত দ্রুতই চলে যায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। কুসুনোকি কি কোনোভাবে সুখের সন্ধান পেয়ে যাবে এই ছোট্ট সময়ে... নাকি সুখ খুঁজে পাওয়ার সর্বশেষ সুযোগটাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে সে?