থিঙ্ক অ্যান্ড গ্রো রিচ (উন্নত চিন্তায় ধনী হোন) (হার্ডকভার)
নেপোলিয়ন হিল (১৮৮৩-১৯৭০) একজন আমেরিকান লেখক ও সাংবাদিক। তিনি মূলত ব্যক্তিগত উন্নয়নের দর্শন নিয়ে লিখিত তাঁর ‘থিঙ্ক অ্যান্ড গ্রো রিচ’ বইটির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। একে সর্বকালের সেরা দশটি বইয়ের মধ্যে অন্যতম হিসেবে ধরা হয়। ধনীরা কী করে ধন-সম্পদ অর্জন করে তা জানার জন্য লেখক পঁচিশ বছর ধরে গবেষণা করেন। এই বইয়ে ধন-সম্পদ উপার্জনের সেই গোপন সূত্রাবলি বর্ণনা করা হয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে লাখো নারী-পুরুষ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন। নেপোলিয়ন হিল-এর মতে, এই বইয়ে বর্ণিত পদ্ধতি যারা একবার আয়ত্ব করেন এবং প্রয়োগ করেন, তারা খুব অল্প চেষ্টাতেই ক্রমাগতভাবে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। তারা কখনো পুনরায় ব্যর্থতায় পড়েন না। ব্যক্তিগত সাফল্য অর্জন পুরোপুরিভাবে নির্ভর করে ব্যক্তির আকাক্সক্ষা, দৃঢ় সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতির ওপর। সাফল্য অর্জনের জন্য তেরোটি সূত্র হচ্ছে: ১. আকাক্সক্ষা; ২. আস্থা; ৩. স্ব-পরামর্শ; ৪. বিশেষায়িত জ্ঞান; ৫. কল্পনা; ৬. সংগঠিত পরিকল্পনা; ৭. সিদ্ধান্ত; ৮. অধ্যবসায়; ৯. ঐক্যমন দলের ক্ষমতা; ১০. যৌনশক্তি রূপান্তরের রহস্য; ১১. অবচেতন মন; ১২. মস্তিষ্ক; এবং ১৩. ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়। লেখক বইতে ছয়টি প্রধান ভীতি তুলে ধরেছেন, যেগুলোর সাথে সব মানুষই পরিচিত, হয়তো কিছুটা আগে কিংবা পরে। এগুলো হলো: ১. দারিদ্র্য ভীতি; ২. সমালোচনার ভীতি; ৩. অসুস্থতা ভীতি; ৪. ভালোবাসার কাউকে হারানোর ভীতি; ৫. বার্ধক্য ভীতি; এবং ৬. মৃত্যু ভীতি। যাঁরা এই ছয়টি ভীতি থেকে মুক্ত, তাঁরা সৌভাগ্যবান। মানুষ যাতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সে জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে,,,,,,,,
নেপোলিয়ন হিল (১৮৮৩-১৯৭০) একজন আমেরিকান লেখক। তিনি ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট-এর উপদেষ্টা ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতা পেশায়। তথাপিও ব্যক্তিগত উন্নয়নের দর্শন নিয়ে লিখিত তাঁর ‘থিঙ্ক অ্যান্ড গ্রো রিচ’ বইটির জন্যই তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ধনীরা কী করে ধন-সম্পদ অর্জন করে তা জানার জন্য নেপোলিয়ন হিল পঁচিশ বছর ধরে গবেষণা করেন। গবেষণাকালে তিনি পঁচিশ হাজার মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করেন। এই গবেষণালব্ধ জ্ঞান ব্যবহার করেই লেখক ‘থিঙ্ক অ্যান্ড গ্রো রিচ’ বইটি লিখেছেন। নেপোলিয়ন হিল-এর মতে, এই বইয়ে বর্ণিত পদ্ধতি যারা একবার আয়ত্ব করেন এবং প্রয়োগ করেন, তারা খুব অল্প চেষ্টাতেই ক্রমাগতভাবে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। তারা কখনো পুনরায় ব্যর্থতায় পড়েন না। ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত এই বইটি ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী বইটির দশ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। একে সর্বকালের সেরা দশটি বইয়ের মধ্যে অন্যতম হিসেবে ধরা হয়। ব্যক্তিগত ধন-সম্পদ অর্জন কিংবা অন্য কোনো সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বইটি নিশ্চিতভাবেই পাঠকের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।