অন্ধকার রাতে, প্রবল বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে, জঙ্গলের ভেতরে জেগে ওঠে কায়রা। বিদ্যুতের আলোতে দেখতে পায় আশে পাশে অগণিত সমাধি। এক পুরানো সমাধিক্ষেত্রে এসে পড়েছে সে। কিন্তু কে ও, কোথা থেকে এসেছে, তার কিছু মনে করতে পারে না। পেছনে কেনই বা তাড়া করছে বন্দুকধারী এক লোক, তাও জানা নেই। বিপন্ন কায়রার কেবল নিজের নামটাই মনে আছে। সমাধিক্ষেত্রের চার্চের দায়িত্বরত ধর্মযাজক ওকে আশ্রয় দিলেন এক রাতের জন্য। কিন্তু সেই রাতেই এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলো কায়রা। সমাধিক্ষেত্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক অতৃপ্ত আত্মা। মুক্তির জন্য ব্যাকুল আত্মাটি সাহায্য প্রার্থনা করে কায়রার কাছে। টের পেল কায়রা, বিশেষ এক দৃষ্টিশক্তি লাভ করেছে সে। আপাত: চোখে যাদের দেখা যায় না, সেইসব অশরীরীদের দেখতে পাচ্ছে। মুক্তির জন্য ব্যাকুল সেই অশরীরীদের যন্ত্রণা ওকে ব্যথিত করে। নিজের বিপদের কথা না ভেবে অতৃপ্ত আত্মাদের মুক্তি দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। আর নিজের অজান্তেই বিপদ ডেকে নিয়ে আসে নিজের। ওর বিপদজ্জনক কর্মকাÐে সঙ্গী হয় অকৃত্রিম দুই বন্ধুÑ মেসন আর জো। কায়রা কি পারবে অনেক বছর আগে নির্মমভাবে খুন হয়ে যাওয়া এমা কার্থেজের আত্মাকে মুক্তি দিতে? পারবে কি নিজের পরিচয় উদ্ধার করতে? ডার্সি কোটসের অনবদ্য সৃষ্টি “গ্রেইভকিপার” সিরিজের প্রথম খÐ রহস্যে ভরা, রক্তহিম করা ভৌতিক উপন্যাস- দ্য হুইসপারিং ডেড।
ডার্সি কোটস
জন্ম অস্ট্রেলিয়াতে। ২০১৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা ভৌতিক উপন্যাস ‘ঘোস্ট ক্যামেরা’। তুমুল জনপ্রিয়তা পায় তাঁর প্রথম লেখা। এরপর একের পর এক তিনি উপহার দিয়ে চলেন সার্থক সব ভৌতিক ও রহস্যোপন্যাস। দ্যা হান্টিং অব ব্ল্যাকউড হাউজ (২০১৫), দ্যা হান্টিং অব গিলেসপী হাউজ (২০১৫), ডেড লেক (২০১৫), প্যারাসাইট (২০১৬), দ্যা হাউজ নেক্সট ডোর (২০১৭), ক্রাভেন ম্যানর (২০১৭), দ্যা ক্যারো হান্ট (২০১৮) এরকম বিশটিরও অধিক জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন তিনি যার অধিকাংশই ইউএসএ টুডে বেস্ট সেলার বুক। এ্যামাজন বেস্ট সেলিং লেখকদের তালিকায়ও নাম রয়েছে তাঁর। অস্ট্রেলিয়াতে সেন্ট্রাল কোস্টে বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করেন অবিবাহিত ডার্সি। বনজঙ্গলে ঘোরা, বই পড়া আর বিড়াল পোষা তাঁর শখ। তাঁর লেখা ভৌতিক উপন্যাসগুলো শহুরে ভৌতিক কাহিনী বলে মনে করা হয়।