দি ওয়ার অফ দি ওয়ার্ল্ডস সমস্ত বিজ্ঞান-কল্পকাহিনির মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী বই। পৃথিবীতে এলিয়েন আক্রমণের প্রথম আধুনিক গল্প এটি।
যে সময় কেবল সায়েন্স ফিকশন ঘরানার বই প্রকাশ করা শুরু হয়েছে, তখনই দি ওয়ার অব দি ওয়ার্ল্ডস বইটি প্রকাশিত হয়। শুধু বিজ্ঞানের কল্পকাহিনির জন্যই বইটি বিখ্যাত নয়। বরং বইটিতে ঔপনিবেশিকতার সমালোচনা, মানবিকতা ও নৈতিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন ও সংকটকালীন মানুষের প্রতিক্রিয়াকে সুস্পষ্ট ও সুচারুভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এইচ জি ওয়েলসের প্রথম দিকের বই এটি। বইটির কাহিনি এমন―মনে হয় যেন লেখক তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছেন। সেজন্যই বইটি আরো প্রাণবন্ত আর জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
১৮৯৮ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ওই সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পৃথিবী অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। অথচ মঙ্গলবাসীর সাথে মানুষের অসম যুদ্ধ ও অস্ত্রশস্ত্রের বর্ণনায় মনে হয় যেন, এই তো সেদিনের ঘটনা!
বিস্ময়কর এই বর্ণনায় লেখকের কল্পনাপ্রবণ মনের আধুনিকতার প্রকাশই তো ঘটে! যার কারণে বইটি আজও অনন্য আর সর্বোচ্চ স্বীকৃত এক সায়েন্স ফিকশন।
এইচ. জি. ওয়েলস
এইচ. জি. ওয়েলস্ (হারবার্ট জর্জ ওয়েলস্) ১৮৬৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই লাভ করেন বিপুল জনপ্রিয়তা। তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য টাইম মেশিন সাড়া ফেলে দিয়েছিল চারদিকে। এইচ. জি. ওয়েলস কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের আরেক দিকপাল জুলভার্নের মতাে সায়েন্স ফ্যান্টাসী রচনার ব্যাপারে আগ্রহী। ছিলেন না। তিনি তাঁর দ্য টাইম মেশিন উপন্যাসে এ জাতীয় যন্ত্র তৈরির নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছিলেন, যা জুলভার্নের কোনাে রচনাতেই পাওয়া যায় না। জীবনের প্রথমলগ্নে বেশ কিছু নারীঘটিত কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এই খ্যাতিমান কল্পবিজ্ঞান লেখক। তাঁর লেখা দ্য টাইম মেশিন ছাড়াও আরাে কয়েকটি চমকপ্রদ উপন্যাস হলাে 'দ্য ইনভিজিবল ম্যান, ‘দ্য আইল্যান্ড অব ডক্টর মােরাে, ‘গ্রহযুদ্ধ, স্লিপার অ্যাওয়াকস, ‘দ্য লর্ড অব ডায়নামাস,' 'ফার্স্ট ম্যান ইন দ্য মুন' ইত্যাদি। এগুলির মধ্যে বেশ কয়টি উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। ১৯৪৬ সালের ১৩ আগস্ট মারা যান এই প্রবাদপ্রতিম কল্পবিজ্ঞান লেখক। অনুবাদক : সালেহা চৌধুরীর এবারের অনুবাদ এইচ. জি. ওয়েলসের অদৃশ্য মানব। তাঁর গ্রন্থসংখ্যা পঞ্চাশের মতাে। অনুবাদ করেছেন দশটি গ্রন্থ। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, সব বিষয়ে লিখতে পছন্দ করেন। দীর্ঘদিন প্রবাসে। লন্ডনে স্কুলে পড়াতেন। এখন অবসর নিয়েছেন। সৃষ্টিশীল সাতিহ্যিক বলে। অনুবাদেও এই সৃষ্টিশীলতা বর্তমান।