ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ৮০২,৭০১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ টাইম মেশিনে উঠে পড়ে স্টার্টিং লিভারটা হাতে নিলেন তিনি....... “নিঃশ্বাস নিয়ে দাঁতে দাঁতে চেপে ধপ শব্দ করে অপসৃত হলাম। বাতি নেবানোর মতো করে রাত্রি নেমে এলো। পর মুহূর্তেই আগামীকাল এসে হাজির হলো। গতি বাড়লে কালো ডানার ঝাপটানিন মতো করে দিনের পর রাত নেমে এলো। তারপরে রাত দিনের দ্রুত আবর্তন একত্রে লীন হয়ে নিরবচ্ছিন্ন ধূসরতায় পর্যবসিত হলো।” যখন তিন থাকলেন তখন তিনি ভবিষ্যৎ কারে আটশত হাজার বছর পরিভ্রমণ করেছেন। সেখানে তিনি কী দেখতে পেয়েছিলেন সেটাই হয়ে উঠেছে সর্বকালের সেরা বিজ্ঞান কাহিনীগুলোর অন্যতম। এক ভিক্টোরীয় বিজ্ঞানী যখন ৮০২,৭০১ খ্রিস্টর্বাব্দে পদার্পণ করেন প্রথমে তিনি আনন্দিত হন। কারণ দেখতে পান যে দুর্ভোগ সেখানে সৌন্দর্য, পরিতৃপ্তি আর শান্তির দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। প্রথমটায় মানুষ থেকে উদ্ভুত বামন এক প্রজাতি এলয়রা তাকে আনন্দে অভিভূত করে ফেলে। শীঘ্রই তিনি বুঝতে পারেন যে এক সময়ের মহান কিনা এখন দুর্বল এবং শিশুদের মতো অন্ধকারের প্রতি ভীত।ভীত হওয়ার যথেষ্ট কারণও তাদের আছে: তাদের স্বর্গজগতের নিচে গভীর সড়ঙ্গের ভিতরে মানুষ থেকে উদ্ভুত আরেক জাতি ওত পেতে আছে-অশুভ মরলক তারা। আর যখন সেই বিজ্ঞানীর টাইম মেশিনটা হারিয়ে যায় তখন একটা ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে যায় যে নিজ সময়কালে যদি পত্যাবর্তন করতে হয় তাহলে এই সুড়ঙ্গগুলোর ভিতরে তাকে অবশ্যই তল্লাশী চালাতে হবে।
এইচ. জি. ওয়েলস
এইচ. জি. ওয়েলস্ (হারবার্ট জর্জ ওয়েলস্) ১৮৬৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই লাভ করেন বিপুল জনপ্রিয়তা। তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য টাইম মেশিন সাড়া ফেলে দিয়েছিল চারদিকে। এইচ. জি. ওয়েলস কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের আরেক দিকপাল জুলভার্নের মতাে সায়েন্স ফ্যান্টাসী রচনার ব্যাপারে আগ্রহী। ছিলেন না। তিনি তাঁর দ্য টাইম মেশিন উপন্যাসে এ জাতীয় যন্ত্র তৈরির নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছিলেন, যা জুলভার্নের কোনাে রচনাতেই পাওয়া যায় না। জীবনের প্রথমলগ্নে বেশ কিছু নারীঘটিত কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এই খ্যাতিমান কল্পবিজ্ঞান লেখক। তাঁর লেখা দ্য টাইম মেশিন ছাড়াও আরাে কয়েকটি চমকপ্রদ উপন্যাস হলাে 'দ্য ইনভিজিবল ম্যান, ‘দ্য আইল্যান্ড অব ডক্টর মােরাে, ‘গ্রহযুদ্ধ, স্লিপার অ্যাওয়াকস, ‘দ্য লর্ড অব ডায়নামাস,' 'ফার্স্ট ম্যান ইন দ্য মুন' ইত্যাদি। এগুলির মধ্যে বেশ কয়টি উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। ১৯৪৬ সালের ১৩ আগস্ট মারা যান এই প্রবাদপ্রতিম কল্পবিজ্ঞান লেখক। অনুবাদক : সালেহা চৌধুরীর এবারের অনুবাদ এইচ. জি. ওয়েলসের অদৃশ্য মানব। তাঁর গ্রন্থসংখ্যা পঞ্চাশের মতাে। অনুবাদ করেছেন দশটি গ্রন্থ। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, সব বিষয়ে লিখতে পছন্দ করেন। দীর্ঘদিন প্রবাসে। লন্ডনে স্কুলে পড়াতেন। এখন অবসর নিয়েছেন। সৃষ্টিশীল সাতিহ্যিক বলে। অনুবাদেও এই সৃষ্টিশীলতা বর্তমান।